হোম > ছাপা সংস্করণ

দেবব্রতের রসিকতা

দেবব্রত বিশ্বাসকে বহুদিন নানা অছিলায় রবীন্দ্রনাথের গান করতে দেয়নি বিশ্বভারতী। অথচ সে সময় পঙ্কজ মল্লিকের পর দেবব্রত বিশ্বাসই রবীন্দ্রসংগীতকে জনপ্রিয় করে তুলেছিলেন। হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ও সে কথাই বলেছেন বারবার।

১৯৬১ সালে যখন রবীন্দ্র জন্মশতবার্ষিকী পালিত হচ্ছিল, তখন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিশিষ্ট মূকাভিনেতা যোগেশ দত্ত একটি অনুষ্ঠান প্রযোজনা করেছিলেন। সেখানে তিনি দেখিয়েছিলেন, রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে কী রকম ব্যবসা চলছে, ভুল বার্তা যাচ্ছে সবার কাছে। অনুষ্ঠানটি দেখেছিলেন দেবব্রত বিশ্বাস। দেখে খুব খুশি হয়েছিলেন। তারপর দেখা হলে যোগেশ দত্তকে জড়িয়ে ধরে বলেছিলেন, ‘কও যোগেশ, এই কথাটা বেশি কইরা কও। আমরা তো আর কিছুই কইতে পারি না, গুরুদেবের গান গাইয়া বেড়াই, তুমি এইটা জোরগলায় কও। সত্য কথা যদি সত্য কইরা না কইতে পারো, তো কিছুই করতে পারবা না।’

সেই যোগেশ দত্ত একদিন এসেছেন দেবব্রত বিশ্বাসের বাড়িতে। এ সময় একজন অচেনা ভদ্রলোক এলেন সেখানে। হাতে করে নিয়ে এসেছেন মিষ্টির বাক্স। তাঁকে দেখে দেবব্রত বিশ্বাস জিজ্ঞেস করলেন, ‘কী চাই?’ 

ভদ্রলোক বললেন, ‘আমি দেবব্রত বিশ্বাসের কাছে এসেছিলাম।’

বোঝা গেল, দেবব্রত বিশ্বাসকে তিনি চেনেন না। তাই সরল মুখে দেবব্রত বললেন, ‘জানেন না? তার তো অসুখ। সে তো হাসপাতালে আছে। আমি রান্না করতাছি। রান্না কইরা তারে দিয়া আসুম।’

ভদ্রলোক খানিক ইতস্তত করে বললেন, ‘এই মিষ্টিগুলি রেখে দিন দয়া করে।’

দুদিকে মাথা নেড়ে দেবব্রত বললেন, ‘না না, আপনে লইয়া যান। সে তো পিজিতে।’

ভদ্রলোক চলে যাওয়ার পর উপস্থিত লোকেরা বললেন, ‘এটা কী করলেন?’

দেবব্রত বিশ্বাস নির্বিকার চিত্তে বললেন, ‘আমার এখন মিষ্টি খাওয়া বারণ। মিষ্টিগুলি রাখলে তোমরা আমার সামনে বইস্যা বইস্যা খাইবা আর আমি দেখুম? তার চেয়ে ভদ্রলোক বাড়িতে নিয়া গেলেন, সেই তো ভালো হইল।’ 

সূত্র: শ্যামল চক্রবর্তী, ঝড় যে তোমার জয়ধ্বজা, পৃষ্ঠা ১৪৭

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ