নিয়মমাফিক প্রস্রাব-পায়খানা সারতে পারা মহান আল্লাহর বড় নেয়ামত। তাই এই কাজ করার আগে-পরে আল্লাহ তাআলার কৃতজ্ঞতা জানানো উচিত। মহানবী (সা.) এ বিষয়ে বেশকিছু শিষ্টাচার শিখিয়েছেন। এখানে কয়েকটি শিষ্টাচারের কথা তুলে ধরা হলো—
১. পায়খানা-প্রস্রাব করার সময় মাথা ঢেকে রাখা।
২. জুতা-সেন্ডেল পায়ে দিয়ে টয়লেটে যাওয়া।
৩. টয়লেটে প্রবেশের আগে দোয়া পড়া—বিসমিল্লাহি আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিনাল খুবসি ওয়াল খাবায়িস।
৪. বাম পা দিয়ে টয়লেটে ঢোকা।
৫. কেবলার দিকে মুখ বা পিঠ দিয়ে না বসা।
৬. বসে প্রয়োজন সারা।
৭. প্রস্রাব ও অপবিত্র পানির ছিটা থেকে সতর্কতা থাকা।
৮. ঢিলা-কুলুপ বা টয়লেট টিস্যু ব্যবহারের পর পানি ব্যবহার করা।
৯. ঢিলা ও পানি ব্যবহারে বাম হাত ব্যবহার করা।
১০. প্রস্রাবের ফোঁটা আসা বন্ধ হওয়ার জন্য প্রয়োজনে লোকচক্ষুর আড়ালে সামান্য হাঁটাহাঁটি করা।
১১. অপারগ হয়ে খোলা জায়গায় প্রস্রাব-পায়খানা করতে হলে যথাসম্ভব সতর ঢেকে রাখার চেষ্টা করা।
১২. প্রস্রাবের জন্য এমন জায়গায় বসা, যেখানে বসলে প্রস্রাবের ছিটা গায়ে লাগবে না।
১৩. ডান পায়ে বের হওয়া।
১৪. প্রবল বাতাসের দিকে মুখ করে প্রস্রাব না করা।
১৫. অজু-গোসলের জায়গায় এবং স্থির পানিতে প্রস্রাব-পায়খানা না করা।
১৬. মলমূত্র ত্যাগের সময় কথা না বলা।
১৭. রাস্তায়, গর্তে, গাছের ছায়ায়, ফলবান গাছের নিচে প্রস্রাব-পায়খানা না করা।
১৮. হাড্ডি, কয়লা, কাগজ, গাছের কাঁচা পাতা, খাদ্যদ্রব্য, শুকনো গোবর দিয়ে পবিত্রতা অর্জন না করা।
১৯. প্রস্রাব করা অবস্থায় কেউ সালাম দিলে জবাব না দেওয়া।
২০. টয়লেট থেকে বের হয়ে দোয়া পড়া—গুফরানাকা আলহামদুলিল্লা হিল্লাজি আজহাবা আন্নিল আজা ওয়া-আফানি।
সূত্র: বিবিধ হাদিসগ্রন্থ