সাতক্ষীরার তালায় আম বাগানে মৌ বাক্স স্থাপন করে মৌমাছির মাধ্যমে সরিষা থেকে শুরু করে বরইসহ বিভিন্ন ফসলের ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করছে মৌচাষি আল-আমিন হোসেন। তিনি ভ্রাম্যমাণ মধু বক্স স্থাপন করে মৌসুমে প্রায় ৩ লক্ষাধিক টাকা আয় করছেন।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার শিকড়া গ্রামের আব্দুর রবের ছেলে আল আমিন হোসেন। এখান থেকে পাঁচ বছর আগে শুরু করেন এ চাষ। জেলার বিভিন্ন জায়গায় বাগান নিয়ে গ্রামের পাশে চাষ করেন তিনি। বর্তমান তালা উপজেলার ইসলামকাটি ইউনিয়নের সুজনশাহ এলাকায় একটি আম বাগানে ১২৫টি মৌ বক্স স্থাপন করে মধু সংগ্রহ করছেন তিনি।
গতকাল রোববার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পরিচর্যা ও মৌমাছি দেখভালের জন্য টোং তৈরি করে সেখানে রাত্রি যাপনসহ খাওয়া-দাওয়া করেন তিনি। তবে তাঁর এই চাষ দেখাশোনা করার জন্য তিনজন কর্মচারীও আছেন। আসন্ন শীত মৌসুমের শুরু থেকে ছয় মাস মধু সংগ্রহ করা হবে এ বাক্স থেকে।
প্রতিটি মৌ বাক্সের মধ্যে একটি করে রানি মৌমাছির সঙ্গে রয়েছে হাজার হাজার মৌমাছি। মৌমাছিগুলো প্রায় চার কিলোমিটার দূরে গিয়ে মধু সংগ্রহ করে আনতে পারে। ভরা মৌসুমে সপ্তাহে একটি মৌ বাক্স থেকে ৩ থেকে ৪ বারে ২ কেজি পর্যন্ত মধু পাওয়া যায়।
মৌ চাষি আল আমিন হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের সাতক্ষীরায় অনেকগুলো এ ভ্রাম্যমাণ মধুর খেত রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এ চাষ পদ্ধতি লাখ করে এক সময় এসে নিজেই আম বাগান নিয়ে চাষ শুরু করি। প্রথমদিকে মৌসুম শেষে খুব বেশি লাভের মুখ দেখতে পায়নি। তবে বছর গড়াতেই বেশ লাভবান হচ্ছি। আমি নিজে উদ্যোগ নিয়ে এ কাজ করতে নেমেছি। তবে সরকারি বা বেসরকারিভাবে কোনো সহযোগিতা পেলে আরও বড় পরিসরে চাষ করতে পারব। বর্তমানে খুচরা বাজারে প্রতিকেজি মধু ৬০০ টাকায় বিক্রি করছি।’
তালা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ হাজিরা খাতুন বলেন, উপজেলায় নির্দিষ্ট করে কোনো চাষি মধু চাষ করেন না। তবে উপজেলার বাইরে থেকে এসে অনেকে মধু চাষ শুরু করেছেন।