দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে শতাধিক মৌচাষি মৌ বাক্স নিয়ে অবস্থান করছেন সিরাজগঞ্জের তাড়াশে। সরিষার ফুল থেকে মধু সংগ্রহের জন্য তাঁরা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অস্থায়ীভাবে আস্তানা গড়ে ইতিমধ্যে মধু সংগ্রহ শুরু করছেন।
মৌচাষিরা জানিয়েছেন, তাঁদের সংগ্রহ করা মধু এলাকায় প্রক্রিয়াজাত করার কোনো ব্যবস্থা নেই। সে জন্য অল্প মূল্যে মধু বিক্রি করতে হচ্ছে। এতে করে চাষিরা মধুর ভালো দাম না পেয়ে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর উপজেলার মাগুড়াবিনোদ, চরকুশা বাড়ি, নাদো-সৈয়দপুরসহ কয়েকটি এলাকায় প্রায় ৪ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে রবিশস্য মৌসুমে সরিষার আবাদ করা হয়েছে। পাশাপাশি সরিষার ফুল থেকে প্রায় দুই থেকে আড়াই কোটি টাকার বিশুদ্ধ মধু সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রাও তাঁদের আছে।
সেই লক্ষ্য পূরণ করতে এ বছরও শতাধিক ভ্রাম্যমাণ মৌচাষি মধু সংগ্রহ করতে মৌ বাক্স ফসলি মাঠের বিভিন্ন স্থানে বসিয়ে দিয়েছেন এরই মধ্যে। মধু সংগ্রহের এই কর্মযজ্ঞে দেশের ফরিদপুর, সাতক্ষীরা, কুষ্টিয়া, বাগেরহাট, নাটোর, সিরাজগঞ্জসহ আশপাশের এলাকার শতাধিক মৌচাষি অংশ নেন।
মৌচাষি শাহাদৎ হোসেন জানান, তাড়াশে মৌ বাক্সের মাধ্যমে মধু সংগ্রহকারী মৌচাষির সংখ্যা এখন পর্যন্ত শতাধিক। তবে সরিষার ফুল ফোটা বাড়তে থাকলে মৌচাষির সংখ্যাও বাড়বে।
কুষ্টিয়া জেলা থেকে আসা মৌচাষি মমিন মণ্ডল জানান, বর্তমান সময়ে এ অঞ্চলে সরিষা থেকে সংগ্রহ করা মধু ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা লিটারে বিক্রি হচ্ছে। মধু প্রক্রিয়াজাতকরণের ব্যবস্থা না থাকায় তাঁরা বাজারমূল্যের চেয়ে খুব কম দামে মধু বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লুৎফুন্নাহার লুনা জানান, সরিষার মৌসুমে প্রচুর পরিমাণে মধু সংগ্রহ হয়ে থাকে। কিন্তু মধু প্রক্রিয়াজাতকরণের কোনো ব্যবস্থা এখানে নেই। এ কারণে মৌচাষিরা কম দামে মধু বিক্রি করতে বাধ্য হন।