হোম > ছাপা সংস্করণ

সুষ্ঠু ভোট নিয়ে শঙ্কা স্বতন্ত্রদের

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ১৫টি ইউপিতে সুষ্ঠু ভোট নিয়ে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীরা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী ও তাঁর সমর্থকেরা গুলি করে হত্যাসহ নানাভাবে হুমকি দিচ্ছেন। যে কারণে সুষ্ঠু ভোটের পাশাপাশি নিজেদের জীবন নিয়েও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা।

সদর উপজেলার উত্তর জয়পুর ইউপির আওয়ামী লীগের দুই বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী বেলাল হোসেন ও সৈয়দ আহমদ অভিযোগ করে বলেন, তাঁদের প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী মিজানুর রহমান এবং তাঁর সমর্থকেরা প্রকাশ্যে তাঁদের গুলি করে হত্যার হুমকি দিয়েছেন। এমনকি ভোটের আগে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বলেছেন।

গতকাল রোববার দুপুরে এ প্রতিবেদকের কাছে এসব অভিযোগ করেন ওই দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী মিজানুর রহমান বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করতে প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থী এ ধরনের কথা বলেছেন। এখন পর্যন্ত নির্বাচনী পরিবেশ ভালো রয়েছে।

একই অভিযোগ করেছেন চন্দ্রগঞ্জ ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নুরুল আমিন। তিনি জানান, নৌকার প্রার্থী আইনুল আহমেদ তানভীর ও তাঁর সমর্থকদের হুমকি-ধমকির ভয়ে তাঁর লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।

প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যার হুমকির অভিযোগ করেন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল আমিন। এ ছাড়া কুশাখালীর আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল আমিন, দিঘলীর শেখ মজিবুর রহমান, দত্তপাড়ার এটিএম কামাল হোসেন, মান্দারীর মিজানুর রহিম, ভবানীগঞ্জের আবদুল খালেক বাদলসহ প্রতিটি ইউপির আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও সমর্থকদের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ তুলেছেন বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীরা।

তবে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মিজানুর রহিম, আইনুল আহমদ তানভীর ও শেখ মজিবুর রহমান এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

বিএনপি দলীয়ভাবে এই নির্বাচনে অংশ না নিলেও বেশির ভাগ ইউপিতে দলটির নেতারা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। নৌকার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী মাঠে রয়েছেন। এ নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা রয়েছেন দ্বিধাবিভক্ত। যে কারণে প্রায়ই ঘটছে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা। এসব বিষয়ে একে অপরকে দায়ী করছেন।

সদর উপজেলার ১৫টি ইউপির মধ্যে ১২টিতে ভোট হবে ব্যালটে। ভবানীগঞ্জ, উত্তর জয়পুর ও হাজিরপাড়া এ তিনটিতে ভোট হবে ইভিএম পদ্ধতিতে। আগামী ২৬ ডিসেম্বর এ ১৫টি ইউপিতে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। এসব ইউপিতে ৭৯ জন চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত নারী সদস্য ১৫৯ এবং পুরুষ ৬৪২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা স্বপন কুমার ভৌমিক আজকের পত্রিকাকে জানান, পাল্টাপাল্টি হামলা ও হুমকি-ধমকির অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশন সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। প্রতিটি কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা দায়িত্ব পালন করবেন।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ