হোম > ছাপা সংস্করণ

ইসলামে বন্ধুত্বের গুরুত্ব

ড. এ এন এম মাসউদুর রহমান

মানুষের পারস্পরিক সম্পর্ক হবে বন্ধুত্বপূর্ণ। তারা পারস্পরিক সম্প্রীতি বজায় রাখবে, অন্যের প্রয়োজন পূরণ করবে, বিপদে সাহায্য করবে এবং কারও প্রতি অত্যাচার করবে না বরং একজন আরেকজনের কাছে থাকবে নিরাপদ। এ রকম পারস্পরিক সম্পর্কই হলো বন্ধুত্ব। বন্ধুত্ব ও ভালোবাসার স্রষ্টা স্বয়ং আল্লাহ। তিনি বলেন, ‘আর তিনি তোমাদের মধ্যে বন্ধুত্ব ও দয়া সৃষ্টি করেছেন।’ (সুরা রোম: ২১)

মানবজীবনে বন্ধুত্বের গুরুত্ব অপরিসীম। তাই বন্ধু নির্বাচনের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা আবশ্যক। মহানবী (সা.) বলেন, ‘মানুষ তার বন্ধুর চরিত্র দ্বারা প্রভাবিত। সুতরাং সে কার সঙ্গে বন্ধুত্ব করছে তা যেন যাচাই-বাছাই করে নেয়।’ (তিরমিজি) সৎ বন্ধুর সাহচর্য মানুষকে মর্যাদাবান করে এবং অসৎ বন্ধুর সংস্পর্শ ব্যক্তিত্বকে ধ্বংস করে। তাই বন্ধুত্ব গ্রহণের ব্যাপারে আল্লাহ বলেন, ‘হে মুমিনগণ, আল্লাহকে ভয় করো এবং সত্যবাদীদের সঙ্গী হও।’ (সুরা তাওবা: ১১৯) মহানবী (সা.) বলেন, ‘অসৎ বন্ধুর চেয়ে একাকিত্ব ভালো এবং একাকিত্বের চেয়ে সৎ সঙ্গী ভালো।’

ইমাম গাজ্জালি (রহ.) বলেছেন, যার সঙ্গে বন্ধুত্ব করবে, তার মধ্যে পাঁচটি গুণ থাকা আবশ্যক। তা হলো বুদ্ধিমত্তা, সৎস্বভাব, পাপাচারী না হওয়া, বিদয়াতপন্থী না হওয়া ও দুনিয়াসক্ত না হওয়া। ইমাম জাফর সাদিক (রহ.) বলেছেন, পাঁচ ব্যক্তির সঙ্গে বন্ধুত্ব করবে না। তারা হলো, মিথ্যাবাদী, নির্বোধ, ভীরু, পাপাচারী ও কৃপণ। বন্ধুত্বের প্রতি গুরুত্বারোপ করে মহানবী (সা.) বলেন, ‘মুসলমান মুসলমানের ভাই ও বন্ধু সমতুল্য। সে তার প্রতি অত্যাচার করবে না এবং তাকে অত্যাচারীর হাতে সোপর্দ করবে না। যে তার ভাইয়ের অভাব পূরণ করবে, আল্লাহ তার অভাব পূরণ করে দেবেন।’ (মুসলিম) 

লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ