বরিশালের উপকূলীয় এলাকা জলবায়ু পরিবর্তনের মারাত্মক হুমকিতে। ভোলায় দিন দিন পরিবর্তন হচ্ছে আবহাওয়া। বরিশালে কীর্তনখোলা নদীর পানি লবণাক্ত হচ্ছে, জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হচ্ছে নগর।
বরিশাল নগরে গতকাল সোমবার জলবায়ু পরিবর্তন, গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড ও পিকেএসএফের পরিবেশ বিষয়ক কার্যক্রম সম্পর্কিত অবহিতকরণ সভায় বিশেষজ্ঞরা এসব কথা বলেন।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোস্টাল স্টাডিজ অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান ড. হাফিজ আশরাফুল হকের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো. শহীদুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমরা বাজারে গিয়ে একজনে ৪-৫টি নিষিদ্ধ পলিথিনে পণ্য নিয়ে আসি। ড্রেনগুলি সে পলিথিনে ভরা।
বরিশাল বিএম কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মৃত্তিকা বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মো. ফজলুল হক বলেন, ‘কৃষি জমিতে রাজনৈতিক ব্যক্তিরা কলেজ, মাদ্রাসা খুলে ব্যবসা করছেন। ফসলের জমিতে স্থাপন করে এমন উন্নয়ন পরিবেশর জন্য হুমকি স্বরূপ।’
বরিশাল মৎস্য বিভাগের সহকারী পরিচালক এ এফ এম নাজমুস সালেহীন বলেন, ‘নদী, সাগরে যে লবণাক্ততা বাড়ছে তার কি সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান আছে বিশেষজ্ঞদের কাছে?’
ড. হাফিজ আশরাফুল হক বলেন, দেশের জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষ করে লবণাক্ততা বাড়ার একমাত্র কারণ ফারাক্কা বাঁধ। পর পর ৩টি ঘূর্ণিঝড় এ অঞ্চলে বড় ধরনের দুর্যোগের ইঙ্গিত দেয়। সভায় আরও বক্তব্য দেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের ডিন অধ্যাপক ড. আহমেদ পারভেজ প্রমুখ।