সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে আদর্শ উচ্চবিদ্যালয় এবং খাষকাউলিয়া সদর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই চলছে পাঠদান।
সকাল সাড়ে ৯টা। চৌহালী আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রবেশমুখে সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. রাশিদুল হাসানের হাতে তাপমাত্রা মাপার যন্ত্র। সঙ্গে আছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্ক। বিদ্যালয়ে প্রবেশের সময় সব শিক্ষক, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের তাপমাত্রা পরীক্ষা করছেন তিনি। এরপরই ভেতরে প্রবেশ করানো হচ্ছে তাদের।
বিদ্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করে দেখা গেল, শ্রেণিকক্ষেও তিন ফুট দূরত্ব বজায় রেখে ছাত্রছাত্রীদের পাঠদান করানো হচ্ছে। ঘণ্টায় ঘণ্টায় স্বাস্থ্যবিধি মানারও পরামর্শ দিচ্ছেন শিক্ষকেরা।
দশম শ্রেণির ছাত্রী নাহিদা জান্নাত যূথি বলে, ‘দীর্ঘ প্রায় ১৮ মাস পর স্কুল খুলেছে। প্রতিদিনই স্কুলে আসছি। আমি খুবই খুশি, কারণ বন্ধুবান্ধব সঙ্গে নিয়ে সরাসরি স্যারদের ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে পারছি।’
২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীরা জানায়, ‘আমরা নবম শ্রেণিতে ওঠার পরপরই করোনার কারণে স্কুল বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘদিন ক্লাস করতে না পারায় হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। অনেক দিন পর সরাসরি ক্লাস করতে পেরে আমরা খুব উৎফুল্ল।’
আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. রাশিদুল হাসান বলেন, ‘সরকারি নির্দেশনায় সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিদ্যালয় খোলার পর থেকে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করছি। ছাত্রছাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে পালন করার পরামর্শ দিচ্ছি।’
সদর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হুমায়ুন বলেন, স্কুলে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি সন্তোষজনক।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর ফিরোজ জানান, চৌহালীতে ১২৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। প্রথম দিন থেকেই সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিদ্যালয়গুলো পাঠদান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা মনিটরিং করছি।’
মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শাহাদৎ হোসেন প্রাং বলেন, ‘বর্তমানে নতুন ও পুরাতন টেনের প্রতিদিন এবং ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি সপ্তাহে এক দিন ক্লাস পরিচালিত হচ্ছে। আশা করছি, করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে পূর্ণাঙ্গ ক্লাস পরিচালিত হবে।’