আদর্শ সদর উপজেলার বিবিরবাজার এলাকায় বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে এসে অপহৃত রমজান হোসেনকে (৩৫) উদ্ধার করেছে র্যাব। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার বিকেলে বিষয়টি জানান র্যাব-১১-এর সিপিসি-২-এর কুমিল্লার কোম্পানি অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন।
র্যাব জানায়, নারায়ণগঞ্জ উপজেলার বন্দর থানার এশরামপুর এলাকার বাসিন্দা মোছাম্মৎ লিজা বেগম গত বুধবার কুমিল্লা র্যাব কার্যালয়ে এসে তাঁর স্বামী রমজান হোসেনকে অপহরণের কথা জানান। তিনি অভিযোগ করে বলেন, অপহরণকারীরা ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করছেন। টাকা না দিলে তাঁর স্বামীকে মেরে ফেলবেন। এ ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ দেন তিনি।
অভিযোগে লিজা বেগম উল্লেখ করেন, গত ১১ এপ্রিল কুমিল্লার বিবিরবাজার এলাকায় তাঁর স্বামী মো. রমজান হোসেন বন্ধু রাকিবের বাসায় বেড়াতে যান। ওই দিন ৭টার পর স্বামীর মোবাইল ফোন বন্ধ পান তিনি। বন্ধু রাকিবের সঙ্গে যোগাযোগ করলে রাকিব জানান, রমজান তাঁর বাসায় যাননি। পরের দিন রমজানের মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ইমোর মাধ্যমে ভিডিও কল দিয়ে অপহরণকারীরা হাত-পা বেঁধে মারধরের দৃশ্য দেখিয়ে স্ত্রীর কাছে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ চান।
র্যাব এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু করে। গোয়েন্দা তৎপরতা এবং তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে গত শুক্রবার বিবিরবাজার এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে অপহরণ চক্রের তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার তিনজন হলেন আদর্শ সদর উপজেলার গাজীপুর গ্রামের মো. মোতাহার হোসেন (৩০), মো. সায়মুন (১৯) ও রাজমঙ্গলপুর গ্রামের মো. দেলোয়ার হোসেন (৪১)।
গ্রেপ্তারকৃতদের তথ্য মতে জগন্নাথপুর ইউনিয়নের গাজীপুর এলাকা থেকে অপহৃত মো. রমজান হোসেনকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে রাজমঙ্গলপুর এলাকার মো. শাহিন (৪০), মো. জাকির (৪১) ও গাজীপুর এলাকার মো. রুবেল (৩৫) পালিয়ে যান।
উদ্ধার হওয়া মো. রমজান হোসেনের বরাত দিয়ে র্যাব জানায়, মো. রমজান হোসেন পূর্ব পরিচিত শাহিনের সঙ্গে বিবিরবাজার সীমান্তে ঘুরতে যান। সেখানে ইফতার শেষে শাহিনসহ সহযোগীরা রমজানের হাত-পা বেঁধে মারধর করেন। এরপর স্ত্রীর কাছে মুক্তিপণের টাকা দাবি করেন।
এ বিষয়ে কুমিল্লার কোতোয়ালি থানায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও দুই থেকে তিনজনকে আসামিকে করে অপহরণের মামলা দায়ের করা হয়েছে।