হোম > ছাপা সংস্করণ

শেরপুরে পিঠা উৎসবে জমকালো আয়োজন

শেরপুর প্রতিনিধি

গ্রামীণ জনপদে শীত এলেই ঘরে ঘরে শুরু হয় পিঠা উৎসব। কিন্তু ব্যস্ত শহরে এই পিঠার স্বাদ পেতে দ্বারস্থ হতে হয় ফুটপাত কিংবা কোনো পিঠার দোকানে। তাই বাঙালির ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে শেরপুর পৌর লেডিস ক্লাব গত বুধবার দিনব্যাপী আয়োজন করেছিল পিঠা উৎসবের। গত চার বছর ধরে এই পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হলেও করোনার কারণে গত দুই বছর বন্ধ ছিল এই আয়োজন।

দীর্ঘদিন পর এই উৎসবের আয়োজন হওয়ায় উপচে পড়া ভিড় ছিল পিঠা উৎসবে। গত বুধবার বিকেলে শেরপুর পৌরসভা কার্যালয় মাঠে ওই পিঠা উৎসবের ফিতা কেটে উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. মোমিনুর রশীদ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মো. হাসান নাহিদ চৌধুরী, পৌর মেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন, হুইপ পত্নী শান্তা রহমান, জেলা লেডিস ক্লাবের সভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌস প্রিয়া, জেলা পুনাক সভাপতি কাজী মোনালিসা মারিয়া, পৌর লেডিস ক্লাবের সভাপতি শাহিনা আক্তার পারভীন, সাধারণ সম্পাদক আঞ্জুমান আরা লিপি, সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শারমিন রহমান অমিসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও নারী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

পিঠা উৎসবে নানা রং ও ঢংয়ের বাহারি পিঠার মেলায় দর্শনার্থীদের মন কেড়েছে স্টলগুলোর বাহারি নানা নাম। বিশেষ করে কেয়া, মাধবীলতা, গোলাপ, রজনীগন্ধা, ক্যামেলিয়া, হাসনাহেনা, অপরাজিতাসহ নানা বাহারি নামের স্টলগুলোতে হৃদয় হরণ, মেরা দিল, জামাই পিঠা, বউ পিঠা, মনকাড়া, সাথী পিফা, কুমারী পিঠা, দুধ চিতই, সাগুর লস্করা, নয়নতারা, ডালের বরফি, হেয়ালি পিঠা, পাটিসাপটা, নারকেল পুলি, দুধ পুলি, তালের পিঠা, মাছ পিঠা, মালপোয়া, ঝালপোয়া, সুজির পিঠা, মাংসের সমুচা, ডিম পিঠা, মুগ পাকান, পুডিং, পায়েস, পানতোয়াসহ প্রায় ১০০ রকমের বাহারি নামের পিঠা বিক্রি ও প্রদর্শিত হয়। অনেকেই সরাসরি উৎসব মাঠে গরম-গরম পিঠা তৈরি করে ক্রেতাদের হাতে তুলে দেন। পিঠার পাশাপাশি হাঁসের মাংস ও চালের রুটিও বিক্রি হয়।

উৎসব বিকেল ৪টায় শুরু হয়ে শেষ হয় রাত ৮টায়। শহরের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ পরিবার-পরিজন নিয়ে কেউ বা আবার বন্ধুদের নিয়ে দলে দলে ভিড় করে পিঠা উৎসবে। ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন স্টল পরিদর্শনের পাশাপাশি বিভিন্ন স্টলের নানাসব বাহারি পিঠার মজা উপভোগ করেন। পিঠা উৎসবে বড়দের পাশাপাশি শিশু-কিশোররাও বেশ আনন্দ উপভোগ করে।

জেলার বিভিন্ন নারী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও শৌখিন পিঠাপ্রেমী নারীরা পিঠা উৎসবের স্টলে তাদের বাহারি পিঠার সমাহার নিয়ে বসেন। পিঠা উৎসবের এ সময়টা যেন বন্ধু-বান্ধব আর প্রিয়জনদের মিলন মেলায় পরিণত হয়। অনেকে দল বেঁধে বন্ধুদের নিয়ে সেলফি তোলাতেও মেতে উঠে। আয়োজকরাও এ উৎসব প্রাণের উৎসব হওয়ায় বেশ খুশি।

আয়োজকদের উপদেষ্টা পৌর মেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন বলেন, বাঙালির ঐতিহ্যবাহী পিঠা উৎসব যাতে হারিয়ে না যায় তাই আমরা এই ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে প্রতি বছর নিয়মিতভাবে পিঠা উৎসবের আয়োজন করছি। ভবিষ্যতে এ ধরনের পিঠা উৎসব আরও বড় পরিসরে আয়োজন করার আশা ব্যক্ত করেন তিনি।

শেরপুর ডিসি মো. মোমিনুর রশীদ বলেন, করোনার কারণে আমরা দুই বছর সকল উৎসব থেকে বঞ্চিত ছিলাম। সে অবস্থা কিছুটা কাটিয়ে এই উৎসবটা বেশ জমজমাট হয়েছে। এ জন্য আয়োজকদের বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাই। ভবিষ্যতেও যেন এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকে সে আশা করি।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ