পাবনার ভাঙ্গুড়ায় চলতি রবিশস্য মৌসুমে সরিষার ফলন ভালো হয়েছে। এ উপজেলায় ৩ হাজার ২০০ থেকে ৩ হাজার ৮০০ টাকা মণ দরে সরিষা বিক্রি হচ্ছে। এ বছর ফলন ও দাম-দুটোই ভালো পাওয়ায় খুব খুশি এলাকার কৃষকেরা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২০২১-২০২২ রবিশস্য মৌসুমে উপজেলার একটি পৌরসভাসহ ৬টি ইউনিয়নে ৫ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। সেখানে সরিষা চাষ হয়েছে ৫ হাজার ৫৬০ হেক্টর জমিতে। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২১০ হেক্টর বেশি। আর সরিষা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ হাজার ৭৯৬ টন। এখন পর্যন্ত উৎপাদিত হয়েছে ৫ হাজার ৯৮০ টন। এই উপজেলায় উন্নত জাতের উচ্চফলনশীল বারি-১৪, বারি-১৮ ও বিনা-১৮ এবং স্থানীয় মাঘী জাতের সরিষার চাষ করা হয় ।
এলাকার কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে এক বিঘা জমিতে সরিষা আবাদে তাঁদের খরচ হয়েছে তিন হাজার থেকে চার হাজার টাকা। তাঁরা ফলন পেয়েছেন বিঘায় ৬ থেকে ৭ মণ। বর্তমানে উপজেলার হাটবাজারে ৩ হাজার ২০০ থেকে ৩ হাজার ৮০০ টাকা মণ দরে সরিষা কেনাবেচা হচ্ছে। এ বছর সরিষার ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় খুশি উপজেলার কৃষকেরা।
উপজেলার পুকুরপাড় গ্রামের কৃষক খোকন প্রামাণিক বলেন, তিনি ৫ বিঘা জমিতে মাঘী জাতের সরিষার আবাদ করেছিলেন। বিঘায় ৭ মণ ফলন পেয়েছেন। কাঁচা সরিষা ৩ হাজার ২০০ টাকা মণে বিক্রি করতে পেরে তিনি খুব খুশি।
উপজেলার ভবানীপুর দিয়ারপাড়া মহল্লার কৃষক আব্দুল জব্বার ফকির বলেন, তিনি দুই বিঘা জমিতে সরিষার আবাদ করেছিলেন। গতকাল বুধবার শরৎনগরহাটে তিনি ৩ হাজার ৮০০ টাকা মণ দরে সরিষা বিক্রি করেছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এনামুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় সরিষার ভালো ফলন হয়েছে। কৃষক ভালো দামও পাচ্ছেন। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, আগামী মৌসুমে উপজেলায় সরিষার আবাদ আরও বৃদ্ধি পাবে।