ফুটবল গোলের খেলা। স্বাভাবিকভাবে গোলদাতাকেই সবাই চেনে। গোলদাতা থাকেন বেশি আলোচনায়। তবে গোল যিনি বানিয়ে দেন, তাঁর অবদানও উপেক্ষা করার সুযোগ নেই। এই যেমন পর্তুগালের বিপক্ষে বাঁচামরার ম্যাচের অন্তিম সময়ে সন হিয়ুং-মিন মাঝমাঠ থেকে ঝোড়ো গতিতে ছুটে গিয়ে তিন ডিফেন্ডারকে বোকা বানানো পাসটা দিতে পেরেছেন বলেই না হাং হি-চানের গোলে জয় নিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত করতে পেরেছে দক্ষিণ কোরিয়া।
ফুটবলে অ্যাসিস্ট বা গোলে সহায়তার বড় ভূমিকাটা রেখে থাকেন ‘নাম্বার টেন’। ‘ফলস নাইন’ হিসেবেও পরিচিত তাঁরা। মূলত এই ক্রিয়েটিভ ফরোয়ার্ডের ওপরে দায়িত্ব থাকে প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগের চোখে ধুলো দিয়ে ডি-বক্সের ভেতর ওত পেতে থাকা ‘নাম্বার নাইন’কে বল জোগান দেওয়ার। যাঁর সবচেয়ে বড় উদাহরণ পেলে, ডিয়েগো ম্যারাডোনা, রোনালদিনহো, লিওনেল মেসি ও নেইমার। অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার ও উইঙ্গাররাও এই দায়িত্ব পালন করে থাকেন।
কাতার বিশ্বকাপে যেমন দুই আর্জেন্টাইন আনহেল দি মারিয়া ও রদ্রিগো দি পলকে এই ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে। অবশ্য ক্লাবের হয়েও তাঁরা এ কাজটিই করে যান। এতে গোলের চেয়ে তাঁদের অ্যাসিস্টের সংখ্যা বেশি। তবে কাতার বিশ্বকাপের শেষ ষোলো শুরু হওয়ার আগপর্যন্ত সর্বোচ্চ অ্যাসিস্টের তালিকার শীর্ষে কোনো উইঙ্গার বা মিডফিল্ডার নয়, আছেন একজাত স্ট্রাইকার—ইংল্যান্ড অধিনায়ক হ্যারি কেইন।