হোম > ছাপা সংস্করণ

৮-১০ ঘণ্টাই থাকে না বিদ্যুৎ

নালিতাবাড়ী (শেরপুর) ও দেওয়ানগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি

প্রচণ্ড গরমের মধ্যে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন শেরপুরের নালিতাবাড়ী ও জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দারা। দিনরাত মিলিয়ে ৮-১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না। এ বিড়ম্বনায় পড়েছে শিশু ও বৃদ্ধরা। এ ছাড়া বিঘ্ন হচ্ছে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ও ঈদের বেচাকেনা। এতে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। বিদ্যুতের আসা-যাওয়ার কারণে ফ্রিজ, টিভি, ফ্যান, কম্পিউটার, বাতি নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এ ছাড়া যেকোনো সময় শর্টসার্কিটের কারণে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।

এদিকে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, দেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ৫১ দশমিক ৮৭ ভাগ গ্যাসনির্ভর। গ্যাস-সংকটের কারণে বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। ফলে অতিরিক্ত লোডশেডিং দেখা দিয়েছে। তবে প্রয়োজনীয় সময়গুলোতে যেন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যায়, সে জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে।

নালিতাবাড়ী বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, নেত্রকোনা, জামালপুর ও শেরপুর জেলায় প্রতিদিন বিদ্যুতের চাহিদা ৭৮০ মেগাওয়াট। এর মধ্যে শেরপুর জেলায় পিডিবি গ্রাহকের চাহিদা ৫২ মেগাওয়াট, কিন্তু পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ২৫ থেকে ২৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। এর মধ্যে নালিতাবাড়ীতে পিডিবির গ্রাহকদের চাহিদা সাড়ে ৬ মেগাওয়াটে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু বর্তমানে বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে ২ থেকে ৩ মেগাওয়াট, যা চাহিদার তুলনায় অনেক কম। নালিতাবাড়ীতে বাণিজ্যিক, আবাসিকসহ প্রায় ১২ হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহক রয়েছেন। দুটি ট্রান্সফরমারের মাধ্যমে চারটি ফিডারে এসব গ্রাহককে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে।

উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষার্থী শ্রাবণী ইসলাম বলে, সামনে পরীক্ষা, কিন্তু বিদ্যুৎ তো থাকেই না। দিন আর রাত—দুই সময়েই একই অবস্থা। এই গরমে বিদ্যুৎ ছাড়া পড়াশোনা করাও কষ্টকর।

ব্যবসায়ী আব্দুল আমিন (৫৫) বলেন, ‘এহন তো ঈদের বেচাকেনার সময়। কিন্তু বিদ্যুতের যে অবস্থা, এই গরমে দোকানে বইসা বেচাকেনা করাও কষ্টের।’

কম্পিউটার ব্যবসায়ী রুহুল আমীন বলেন, লোডশেডিংয়ের ফলে ব্যবসার অনেক ক্ষতি হচ্ছে।

নালিতাবাড়ী বিদ্যুৎ বিভাগের আবাসিক প্রকৌশলী সুশান্ত পাল বলেন, যেহেতু বিদ্যুতের সংকট, তারপর যেটুকু বিদ্যুৎ পাচ্ছি, তা কোথাও এক ঘণ্টা দিচ্ছি, তার বিপরীতে অন্য কোথাও এক ঘণ্টা বন্ধ রাখতে হচ্ছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনে সংকট হচ্ছে বলে মাইকে গ্রাহকদের জানানো হয়েছে।

এদিকে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে লোডশেডিংয়ে নাজেহাল পৌর শহরসহ উপজেলার ৩০ গ্রামের মানুষ। বিদ্যুতের এ সমস্যা পৌর শহরের তুলনায় গ্রামগুলোতে আরও ভয়াবহ বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। তাঁরা বলছেন, রাত ও দিনের বেশির ভাগ সময়ই বিদ্যুৎ থাকে না। কিছু সময় বিদ্যুৎ-সংযোগ দেওয়া হলেও চলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিং। এতে এই অঞ্চলে ২টি ফিডারের আওতায় থাকা ১৫ হাজারের বেশি গ্রাহককে পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ।

পোল্যাকান্দি গ্রামের বাসিন্দা মিজানুর রহমান জানান, প্রচণ্ড দাবদাহে বিদ্যুৎ না থাকায় নাভিশ্বাস উঠেছে মানুষের। অন্যদিকে সামনে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা। লোডশেডিংয়ের কারণে বেশির ভাগ সময় বিদ্যুৎ না থাকায় বেশি বিপাকে পড়ছে পরীক্ষার্থীসহ শিক্ষার্থীরা। বিদ্যুৎ না থাকায় তাদের লেখাপড়ায় চরম ক্ষতি হচ্ছে। এ ছাড়া বিদ্যুৎ না থাকায় হাটবাজার এবং ছোটখাটো অনেক কারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এ বিষয়ে স্থানীয় পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে অভিযোগ করেও কোনো কাজ হচ্ছে না।

পল্লী বিদ্যুতের দেওয়ানগঞ্জ জোনাল অফিসের এজিএম মো. শেখ ফরিদ বলেন, গ্যাস-সংকটের কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে এসেছে।

ডিজিএম মো. ইয়াহিয়া সিদ্দিকী জানান, প্রতিদিন এই অঞ্চলে ১২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন। সেখানে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয় মাত্র ২ থেকে ৩ মেগাওয়াট।

জামালপুর পল্লী বিদ্যুতের জিএম প্রকৌশলী মো. আলমগীর বলেন, ‘আমরা চাহিদার অর্ধেকের কম বিদ্যুৎ পাচ্ছি।’

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ