আজ ৯ ডিসেম্বর। কুষ্টিয়ার কুমারখালী মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিকামী মানুষের প্রতিরোধ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে উপজেলা পাকিস্তানি হানাদার মুক্ত হয়; ওড়ে স্বাধীন দেশের লাল সবুজের পতাকা।
জানা গেছে, দীর্ঘ ৯ মাসে উপজেলার ধলনগর, করিমপুর, প্রতাপপুর, কুসলীবাসা, বিল বরইচারা, ডাঁসা, ঘাসখাল, বংশীতলা, নন্দনালপুরের হাতিসাঁকো রেললাইন, কুমারখালী শহরে যুদ্ধ হয়। এতে গেজেটভুক্ত ১৪ বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং শত শত নারী-পুরুষ শহিদ হন। নিহত হয় কয়েকশ পাকিস্তানি সৈন্য।
৭ ডিসেম্বর সকালে মুক্তিযোদ্ধারা শহরে ঢুকে কুন্ডুপাড়া রাজাকার ক্যাম্পে আক্রমণ করেন। সে সময় রাজাকারদের সঙ্গে তাঁদের তুমুল যুদ্ধ হয়। এ যুদ্ধের খবর পেয়ে কুষ্টিয়া থেকে পাকিস্তানি সেনারা কুমারখালী শহরে প্রবেশ করে এবং বিক্ষিপ্তভাবে ব্রাশ ফায়ারের মাধ্যমে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। ৮ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে রাজাকার ও পাকিস্তানি বাহিনীর ক্যাম্পে হামলা করতে পৃথক পৃথক এলাকায় অবস্থান নেন।
৯ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা শহরের চারপাশ থেকে পাকিস্তানি বাহিনীর ক্যাম্প (বর্তমান কুমারখালী উপজেলা পরিষদ) আক্রমণ করেন। দীর্ঘ সময় যুদ্ধের পর পাকিস্তানি বাহিনী পিছু হটতে শুরু করে। একপর্যায়ে তারা পালিয়ে ট্রেনযোগে কুষ্টিয়ার দিকে রওনা দেয়। ট্রেনটি চাড়াইকোল হাতিসাঁকো এলাকায় পৌঁছানো মাত্রই মুক্তিযোদ্ধারা ট্রেনটি লাইনচ্যুত করে দেয়। গুলি ছুড়তে ছুড়তে হেঁটে কুষ্টিয়া অভিমুখে পালিয়ে যায়।