বগুড়ার শেরপুরে মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলের ধারালো অস্ত্রের কোপে আহত বাবা মারা গেছেন। গত রোববার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বাবা মতিয়ার রহমান।
এর আগে রোববার ভোরে বাবাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করেন ছেলে। মতিয়ার রহমান (৬০) শেরপুর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের কয়ের খালী গ্রামের বাসিন্দা।
এলাকাবাসী ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মতিয়ার রহমানের ছেলে মামুন (২৮) মানসিক ভারসাম্যহীন। গত শনিবার বিকেলে মামুন বাড়ি থেকে ৫ কেজি চাল স্থানীয় একটি মাজারে দান করেন। কাউকে না জানিয়ে বাড়ি থেকে চাল নিয়ে যাওয়ার কারণে ওই রাতেই মতিয়ার রহমান ছেলেকে শাসন করেন। পরে ভোর ৪টার দিকে মামুন তাঁর বাবাকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে সেই চাল নিয়ে আসতে বলেন।
এরপর বাবা-ছেলে একসঙ্গে সেখানে যাওয়ার জন্য রওনা দেন। পথে এক ফসলি খেতের কাছে পৌঁছালে মামুন তাঁর বাবাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করেন। এ সময় মতিয়ারের চিৎকারে গ্রামের লোকজন এসে মামুনকে আটক করে। এরপর গুরুতর আহত মতিয়ার রহমানকে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
সেখানে অবস্থার অবনতি হলে মতিয়ার রহমানকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) ও হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এরপর ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত রোববার রাতে মতিয়ার রহমান মারা যান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, মামুনকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কেউ তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে নাই।