ঢাকার দোহার উপজেলার নারিশা ইউনিয়নের মালিকান্দা মেঘুলা স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করেছে। গতকাল রোববার কলেজের মূল ফটকের বাইরে ঢাকা-দোহার আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে এ বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, গতকাল ওই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ অজয় কুমার রায় ও প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ঢাকা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুর রহমানের পরিচালনা পর্ষদে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির প্রতিবাদ ও অধ্যক্ষকে অপসারণের দাবিতে ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে এক ঘণ্টাব্যাপী সড়কে বিক্ষোভ করে। সংবাদ পেয়ে দোহার থানা-পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) আজাহারুল ইসলাম ও নারিশা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের শান্ত করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে যেতে আহ্বান জানান। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ তুলে নেয়।
শিক্ষার্থীরা মানসম্মত শহীদ মিনার নির্মাণ, মূল ফটকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নামফলক, পুকুর ইজারা অর্থ আত্মসাৎ, বেতন রসিদের অনিয়মের হোতা কেরানি গোলাম মোস্তফার অপসারণ, প্রতিষ্ঠানের মসজিদের উন্নয়ন না করা, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অশুভ আচরণসহ উন্নয়নের নাম করে পরিচালনা পর্ষদের লুটপাটের বিচার দাবিসহ অধ্যক্ষের অপসারণ দাবি করে। এ ছাড়া সম্প্রতি বখাটেরা প্রতিষ্ঠানের মেয়ে শিক্ষার্থীদের বাথরুমে ঢুকে বেশ কয়েকটি বেসিন, লাইট, ফ্যান ও বেসিন গ্লাস ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ করে।
এ বিষয়ে অধ্যক্ষ অজয় কুমার রায় বলেন, শিক্ষাঙ্গনে বখাটেপনা বন্ধ করতে সব শিক্ষার্থীদের কলেজ ক্যাম্পাসে আড্ডা বন্ধ করতে কড়াকড়ি করায় আজ সকালে কিছু উচ্ছৃঙ্খল ছাত্র সড়ক অবরোধ করে। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।
এ বিষয় মাহবুবুর রহমানের বলেন, ক্যাম্পাসে বখাটেপনা বন্ধ করতে কিছু বিধিনিষেধ জারি করাতে আজকে এই সড়ক অবরোধ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের দাবি যাচাই-বাছাই করে দেখা হবে।
দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোবাশ্বের আলম বলেন, অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।