হবিগঞ্জের জেলার চুনারুঘাটের রেমা-কালেঙ্গা। এটি সংরক্ষিত বন হওয়া সত্ত্বেও থামছে না অবাধে গাছ কাটা। গতকাল সোমবার গাছ নিধন রক্ষায় উপজেলা সমন্বয় সভা হয়।
সভায় কালেঙ্গা বনবিট কর্মকর্তা খলিলুর রহমান বলেন, ‘জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্বল্প সংখ্যক জনবল নিয়ে গাছ পাচার বন্ধে কাজ করে যাচ্ছি।’ এ সমস্যা সমাধানে উপজেলা প্রশাসন থেকে টাস্কফোর্স গঠন করা প্রয়োজন বলেও জানান তিনি।
সভায় উপস্থিত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদির লস্কর বলেন, কালেঙ্গা বন থেকে যেন কোনোভাবেই গাছ পাচার না হয়, এদিকে নজর দিতে হবে। কারণ এটি সরকারি সম্পত্তি। এর রক্ষা করা সকলের দায়িত্ব।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন-উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান লুৎফুর রহমান মহালদার, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আবিদা খাতুন, চুনারুঘাট থানার ওসি (তদন্ত) চম্পক দাম,
মিরাশী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রমিজ উদ্দিন প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, কালেঙ্গা বনে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ, পশু-পাখি ও শকুন। সম্প্রতি কালেঙ্গা রেঞ্জের ছনবাড়ি ও রেমা বিট থেকে গাছ কেটে পাচারের জন্য বনদস্যুরা তৎপর রয়েছে।
ছনবাড়ি বিট থেকে ১৫ অক্টোবর রাতে গাছ পাচার করে নিয়ে যাওয়ার সময় কালেঙ্গা রেঞ্জ কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে কবিলাশপুর পয়রাঠিলা এলাকায় অভিযান চালানো হয়।
কিন্তু বনদস্যুরা তীর-ধনুক ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের ধাওয়া করে। খবর পেয়ে র্যাব, পুলিশ ও বিজিবি এসে যৌথ অভিযান করে বনদস্যুদের পাচার করা ২৪ টুকরো চাপালিশ গাছ উদ্ধার করে। তবে বনদস্যুরা পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় বিট কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান বাদী হয়ে চুনারুঘাট থানায় ৯ বনদস্যুর নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ৮ থেকে ১০ জনের নামে একটি মামলা করেছেন।
চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিদ্ধার্থ ভোমিক বলেন, এ বনে গাছ পাচার রক্ষায় উপজেলা প্রশাসন তৎপর। প্রয়োজনে টাস্কফোর্স গঠন করে অভিযান চালানো হবে।