হোম > ছাপা সংস্করণ

মামলার পর থেকে অবরুদ্ধ ইউপি সদস্যের সমর্থকেরা

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতার শিকার হয়ে এক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্যের সমর্থকেরা বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইউপির নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও তাঁর সমর্থদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার সোনাখাড়া ইউনিয়নের হাজিপুর গ্রামে।

গত ১১ নভেম্বর রাতের হামলার ঘটনায় ১৭ নভেম্বর মামলা হয়।

অভিযোগ করা হয়, নৌকায় ভোট না দেওয়ায় সোনাখাড়া ইউপির নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা কামাল রিপন ও তাঁর সমর্থকদের বাধায় বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না ৪ নম্বর ওয়ার্ডের হাজিপুর গ্রামের বাসিন্দারা। তা ছাড়া হামলায় পাঁচটি বসতবাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, মোটরসাইকেলসহ আসবাব ভাঙচুর করা হয়েছে এবং পুকুরের মাছ জোর করে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ভুক্তভোগীরা পার্শ্ববর্তী বাজারে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে না পারায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ১১ নভেম্বর সোনাখাড়া ইউপিতে নৌকা প্রতীক নিয়ে আবু হেনা মোস্তফা কামাল রিপন বিজয়ী হন। জয়ী হন ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটকেন্দ্রেও। একই সঙ্গে একই ওয়ার্ডে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বর্তমান মেম্বার সরোয়ার হোসেন পুনরায় ইউপি সদস্য নির্বাচিত হন। চেয়ারম্যান রিপন ও ইউপি সদস্য সরোয়ারের মধ্যে পূর্ববিরোধ থাকায় নৌকায় ভোট না দেওয়ার অজুহাত তুলে ফল ঘোষণার পরপরই রাতে হাজিপুর গ্রামে সরোয়ারের আত্মীয়স্বজন ও সমর্থকদের বাড়িতে হামলা চালানো হয়। গ্রামটির প্রায় পাঁচটি বসতবাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, মোটরসাইকেলসহ আসবাব ভাঙচুর করা হয়।

ওই হামলায় গুরুতর আহত হন ইউপি সদস্য সরোয়ার হোসেনসহ অন্তত ১০ জন স্থানীয় বাসিন্দা। একই সময়ে হামলা চালানো হয় পার্শ্ববর্তী নিমগাছি বাজারেও। বাজারটিতে থাকা হাজিপুর গ্রামবাসীর দোকানে লুটপাট চালানো হয়।

হামলায় আহত জাহাঙ্গির আলম বলেন, ‘চেয়ারম্যান রিপন বাহিনীর হামলা পাকিস্তানিদের বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে। আমার বসতবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। মামলা দায়ের করেছি, তারপরও অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্তি মিলছে না।’

হামলায় আহত ছালমা খাতুন বলেন, ‘রাতের বেলায় রামদা, লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায় রিপন চেয়ারম্যানের আত্মীয়স্বজন। তাঁরা নারীদেরও শ্লীলতাহানি করে, বাড়িঘর ভেঙে দিয়েছে।’

সোনাখাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ইউপি সদস্য সরোয়ার হোসেন বলেন, ‘রিপন চেয়ারম্যান তার বিএনপি-জামায়াতের আত্মীয়স্বজন ও সমর্থক দিয়ে আমার আত্মীয়স্বজন ও সমর্থকদের ওপর বর্বর হামলা চালিয়েছে। শতাধিক পরিবারকে এক মাস ধরে অবরুদ্ধ করে রেখেছে।’

সোনাখাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা কামাল রিপন হাজিপুর গ্রামে নির্বাচনের দিন হামলা হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘এই গ্রাম থেকে যাঁরা আওয়ামী লীগ করেন, তাঁরা নৌকার বিরোধিতা করেছে, যার ফলে এই হামলা হয়েছে।’

রায়গঞ্জ থানার ওসি মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, মামলার পর তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কাউকে অবরুদ্ধ করা হলে বা হাট-বাজারে যেতে বাধা দেওয়া হলে, তাঁর বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ