করোনা মহামারি থেকে শিক্ষা নিয়ে মহামারি চুক্তি করতে দীর্ঘদিন ধরেই তাগিদ দিয়ে আসছেন বিশেষজ্ঞরা। এরপর থেকেই নড়েচড়ে বসেন বিশ্বনেতারা। মহামারি প্রতিরোধে এবার একটি বৈশ্বিক চুক্তির জন্য চাপ দিচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এতে নতুন পদক্ষেপ হিসেবে বন্য প্রাণীর বাজারের ওপর নিষেধাজ্ঞা এবং নতুন ভাইরাস কিংবা এর ধরন শনাক্ত করার জন্য বিভিন্ন দেশে প্রণোদনা অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। কার্যকর চুক্তির জন্য আলোচনার প্রস্তুতি হিসেবে প্রথমবারের মতো গতকাল বুধবার বৈঠকে বসেন বিশ্বনেতারা।
আগামী আগস্টের মধ্যে প্রাথমিক চুক্তি সম্পন্ন করার লক্ষ্য ঠিক করেছে দলটি। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য প্রধান দেশের কাছ থেকে পূর্ণ সমর্থন পাওয়ার জন্য এখনো চেষ্টা করে যাচ্ছে ইইউ। ২০২০ সালের নভেম্বরে প্রথম এই চুক্তির প্রস্তাব করা ইউরোপীয় পরিষদের মুখপাত্র চার্লস মিশেল ও হোয়াইট হাউস এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
উৎসের সন্ধান পাওয়া না গেলেও চীনের উহানের একটি বন্য প্রাণী বাজারের প্রাণী দেহ থেকে করোনাভাইরাস মানুষের দেহে এসেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের কর্মকর্তারা বলছেন, বন্য প্রাণীর বাজার ধীরে ধীরে বন্ধ করে দেওয়ার পদক্ষেপ চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। এতে করোনার টিকার ব্যাপারেও পদক্ষেপ যুক্ত করা হতে পারে। গতকাল বৈঠকে ছিলেন জাপান, নেদারল্যান্ডস ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা, মিসর, থাইল্যান্ডের কর্মকর্তারা। এদের মধ্যে কয়েকটি দেশ চুক্তিতে বাধ্যবাধকতা থাকার বিপক্ষে। ২০২৪ সালের মে মাসে চুক্তিটি স্বাক্ষর হতে পারে।