রংপুর থেকে মাত্র ১১ কিলোমিটার দূরে গঙ্গাচড়া উপজেলা পরিষদের অবস্থান। উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত গঙ্গাচড়া বাজার। বাজারের মূল কেন্দ্রটির নাম জিরো পয়েন্ট। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা প্রভাব খাঁটিয়ে নিজেদের দখলে নিয়ে সেখানে গড়ে তুলেছেন দোকান-পাট। এতে মূল রাস্তাটি একেবারেই সংকীর্ণ হয়ে পড়েছে। যানজট নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সর্বস্তরের মানুষ।
উপজেলার নোহালী গ্রামের মোহাম্মদ আলী (৪৫) জানান, কিছুদিন আগে অসুস্থ বাবাকে নিয়ে জরুরি চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে যাচ্ছিলেন অ্যাম্বুলেন্সযোগে। গঙ্গাচড়া বাজারের জিরো পয়েন্টে ৩০ সেকেন্ডের রাস্তা অতিক্রম করতে লেগেছে প্রায় ৩০ মিনিট।
গঙ্গাচড়া সরকারি মডেল উচ্চবিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী মাহফুজা আক্তার বলে, প্রতিদিন বিদ্যালয়ে আসতে বাসা থেকে আসতে যত সময় না লাগে, তার থেকে বেশি সময় ব্যয় হয় জিরো পয়েন্টে।
হাজি দেলোয়ার হোসেন উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী তুলি আক্তার বলেন, ‘প্রতিদিন বড়বিল ইউনিয়নের চৌধুরীর হাট থেকে বাইসাইকেল চালিয়ে স্কুলে আসি। জিরো পয়েন্টে যানজটে আটকা পড়তে হয়।’ কয়েক দিন আগে ওই স্থানে দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছিল বলে জানায় সে।
গঙ্গাচড়া বাজারের ব্যবসায়ী আরিফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, অটো চালকেরা যেখানে সেখানে গাড়ি দাঁড় করার কারণে এ যানজট সৃষ্টি হয়। জিরোপয়েন্ট ও ফুটপাত দখলমুক্ত করতে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
গঙ্গাচড়া বাজার দোকান মালিক সমিতির সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘হাট ইজারাদার ও অটোরিকশা চালকদের কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘জিরো পয়েন্ট যানজটমুক্ত করতে উপজেলা পরিষদের সমন্বয় কমিটির সভায় কয়েকবার বহু ধরনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিল। তবে সেগুলো বাস্তবায়নের মুখ দেখিনি। কখনো কোনো সিদ্ধান্ত ২ / ৩ সপ্তাহের জন্য বাস্তবায়িত হয়েছে। এরপরই অজ্ঞাত কারণে তা পূর্বের অবস্থাতেই চলে গেছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নয়ন কুমার সাহা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ইউএনও স্যারের সঙ্গে কথা বলে দেখি কি করা যায়।’