দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে সরিষা চাষ বেড়েছে। তাই বাড়তি ফসল হিসেবে সরিষা চাষে ঝুঁকছেন তাঁরা। এতে লাভবান হওয়ার আশা করছেন কৃষক।
সরিষা চাষি উপজেলার আলাদিপুর ইউনিয়নের আলাদিপুর গ্রামের থলেশ্বর বর্মণ বলেন, তিনি আমন ধান কাটার পর এক একর জমিতে বারি-১৪ উচ্চফলনশীল জাতের সরিষা চাষ করেন এবং আশা করছেন, এক জমিতে ২৭-২৮ মণ ফলন হবে, যা বাজারমূল্য ৬০-৬৫ হাজার টাকা। এই সরিষার ফসল ঘরে তুলে একই জমিতে তিনি বোরো ধান রোপণ করবেন।
তিনি আরও বলেন, আমন ও বোরো চাষের মাঝামাঝি যে সময় পাওয়া যায়, তাতেই সরিষার চাষ করা যায়। একই জমিতে তিনটি ফসল পাওয়া যাবে। এই অল্প সময়ের সরিষা ফসলে তাঁর বাড়তি আয় হবে। অপর দিকে সরিষা তোলার পর ওই জমিতে ধান চাষে সারও কম লাগে বলেও জানান তিনি। একই কথা জানান আলাদিপুর গ্রামের বলাই বর্মণ, বিপদ চন্দ্র, লাল মোহন রায়সহ একাধিক কৃষক।
কৃষকেরা জানান, আমন ও বোরো ধানের মাঝে অল্প সময়ের মধ্যে সরিষা চাষ করা যায়, এতে করে একই জমিতে তিনটি ফসল ঘরে ওঠে ও বাড়তি আয় হয়। বর্তমানে তেলের দাম বেশি। সরিষা থেকে তেলের চাহিদা ও এর খৈল গরুর খাবার হিসেবে ব্যবহার হয়, পাশাপাশি সরিষার শুকনো গাছ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোছা রুম্মান আক্তার জানান, এ বছর ৯৬৫ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়, চাষ হয়েছে ৯৮৮ হেক্টর জমিতে, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে ভোজ্যতেলের মূল্য ও চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় সরিষার চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে, এতে করে কৃষকেরা লাভের মুখ দেখছেন। আগামীতে উপজেলায় সরিষা চাষ আরও বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।