হোম > ছাপা সংস্করণ

নরসিংদী কারাগার: পালানো ১৩৬ কয়েদির আত্মসমর্পণ, বরখাস্ত ২

নরসিংদী প্রতিনিধি

দুর্বৃত্তের হামলার পর নরসিংদী জেলা কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া ৮২৬ কয়েদির মধ্যে দুই নারীসহ ১৩৬ জন আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। গতকাল দিনব্যাপী কয়েদিরা নিজেদের আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি কাজী নাজমুল ইসলাম। 

এদিকে কয়েদি পালানোর ঘটনায় জেল সুপার আবুল কালাম আজাদ ও জেলার কামরুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলম। 

কয়েদিরা জানান, ১৯ জুলাই (শুক্রবার) বিকেলে কোটা আন্দোলনের সময় জেলা কারাগারের সামনে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে কী হচ্ছিল, জেলখানার ভেতরে থেকে সেটা ঠিক বোঝা যাচ্ছিল না। একপর্যায়ে হামলাকারীরা কারাগারের ভেতরে ঢুকে সবাইকে বের হয়ে যেতে বলছে। এ সময় অনেকে বের হয়ে যেতে না চাইলে পেটানো শুরু করে, আগুন ধরিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয় ও একপর্যায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে যেসব কয়েদি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন, তাঁরাও পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। এখন যদি তাঁরা আত্মসমর্পণ না করেন, তাহলে জেল পলায়ন, হামলা, লুটপাট, ভাঙচুরসহ বিভিন্ন মামলার আসামি করা হবে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে তাঁরা আত্মসমর্পণ করেছেন। 

আইনজীবী সমিতির সভাপতি নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘আত্মসমর্পণকারী কয়েদিদের মধ্যে জঙ্গি, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কোনো আসামি ছিলেন না। তবে খুন, মারামারি, অস্ত্র, বিস্ফোরক, মাদকসহ বিভিন্ন মামলার বিভিন্ন বয়সী সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি ও বিচারাধীন মামলার আসামি রয়েছেন। আমরা আশাবাদী, বুধবারের মধ্যে বেশির ভাগ আসামি আত্মসমর্পণ করবেন।’ 

কারাগার সূত্র জানায়, কারাগার থেকে ৮৫টি অস্ত্র লুট হয়েছে। তার মধ্যে এ পর্যন্ত ৩৩টি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া লুট হওয়া গুলির মধ্যে ১০৮৫টি উদ্ধার করা গেছে। 

গতকাল বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক বদিউল আলম জানান, এ পর্যন্ত মোট ১৩৬ জন জেল পলাতক কয়েদি আদালতের মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করেছেন। তাঁদের মধ্যে সোমবার চারজন ও মঙ্গলবার ১৩২ জন। তাঁদের এখন আশপাশের জেলার কারাগারে পাঠানো হবে। পরে রাখার মতো অবস্থা হলে নরসিংদী জেলা কারাগারে নিয়ে আসা হবে। এ ছাড়া হামলা, ভাঙচুর, আগুন ও কয়েদি পালানোর ঘটনায় জেল সুপার আবুল কালাম আজাদ ও জেলার কামরুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করে অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়েছে। 

গাজীপুর ও কিশোরগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার ৩ 
কারাগার থেকে পালানো দুই আসামিকে গতকাল বিকেলে গাজীপুর নগরীর গাছা থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। মহানগর পুলিশ কমিশনার মাহবুব আলম জানান, গ্রেপ্তার দুজন একটি হত্যা মামলার বিচারাধীন আসামি। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁদের আরো সহযোগী গাজীপুরে আত্মগোপনে আছেন। এ জন্য গ্রেপ্তার দুজনের নাম গোপন রাখা হয়েছে। 

এদিকে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান টিটু জানান, বাদল মিয়া (৫৫) নামে এক পালানো কয়েদিকে গতকাল রাত ৮টার দিকে উপজেলার জাঙ্গালিয়া বাজার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের চরটৈকী গ্রামের বাসিন্দা।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ