এবারের কলকাতা শিল্পমেলায় বাংলাদেশের শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর অংশগ্রহণকে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে ভারতের বেঙ্গল ন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (বিএনসিসিআই)। আগামী ২৩ ডিসেম্বর থেকে বিএনসিসিআইয়ের আয়োজনে কলকাতায় শুরু হচ্ছে ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইন্ডিয়া ট্রেড ফেয়ার’, যা চলবে আগামী বছরের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত। অন্যতম প্রাচীন এ শিল্পমেলার প্রস্তুতিও ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে।
‘বাণিজ্যে বসতে লক্ষ্মী’ এই স্লোগান সামনে রেখে ১৯৮৭ সালের ২ ফেব্রুয়ারি যাত্রা শুরু করেছিল বিএনসিসিআই। বাঙালি শিল্পপতিরাই গড়ে তুলেছিলেন সংগঠনটি।
বিএনসিসিআইর কোষাধ্যক্ষ অশোক বণিক জানান, প্রতিবছরই মেলায় বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশ থেকে প্রচুর স্টল অংশ নেয় এবং বিক্রিও ভালো হয়। এবার তাঁরা মেলায় আনতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে শিল্প ও ব্যবসার বিস্তৃতি ঘটানোই তাঁদের উদ্দেশ্য।
অশোক আরও বলেন, একসময় বাংলাদেশের শিল্পপতিরাও সরাসরি বিএনসিসিআইর সদস্য ছিলেন। সংগঠনটি প্রতিষ্ঠায় তাঁদেরও অবদান রয়েছে। এই শিল্পমেলায় কলকাতার মানুষ বাংলাদেশি স্টল থেকে জামদানি শাড়ি, মেলামাইনের বাসন ছাড়াও অন্যান্য সামগ্রীর প্রতিও আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
নিউটাউনে ১৩৮ বছরের প্রাচীন সংস্থাটির নিজস্ব মাঠে হবে এবারের শিল্পমেলা। ভারত ছাড়াও বিভিন্ন দেশ থেকে ব্যবসায়ীরা আসবেন। বাংলাদেশ থেকে এবার আরও বেশি ব্যবসায়িক প্রতিনিধি চাইছে বিএনসিসিআই।