সিভিল সার্জনের পক্ষ থেকে খুলনা জেনারেল হাসপাতালের টেকনোলজিস্ট প্রকাশ কুমার দাসের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের লিখিত অভিযোগ দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) দেওয়া হলেও এখনো কোনো মামলা হয়নি। এদিকে এ ঘটনার পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছেন প্রকাশ কুমার।
খুলনা জেনারেল হাসপাতালের করোনার নমুনা পরীক্ষার প্রায় ২ কোটি ৫৮ লাখ ৯৭ হাজার টাকা গরমিল হওয়ার পর ওই হাসপাতালের টেকনোলজিস্ট আত্মগোপনে চলে যান ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে।
খুলনা সিভিল সার্জন নিয়াজ মোহাম্মদ জানান, গত বছর করোনার নমুনা বুথে সংগ্রহের ব্যাপারে হাসপাতালের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট প্রকাশ কুমার দাশ অনিয়মের কথা স্বীকার করেন। নমুনা পরীক্ষা বাবদ তিনি জমা দেন ১ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। কিন্তু জমা দেওয়ার কথা ছিল ২ কোটি ৯৮ লাখ টাকা।
কর্তৃপক্ষ তাঁকে টাকা জমা দেওয়ার জন্য তাগাদা দেয়। গত ২৩ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার তাঁর হিসাব দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওইদিন দুপুরে কাউকে কিছু না জানিয়ে অফিস থেকে চলে যান। এরপর থেকে তাকে আর পাওয়া যায়নি। তাঁকে না পেয়ে ২৭ সেপ্টেম্বর খুলনা সদর থানায় জিডি করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। খুলনা সদর থানা জিডির কপি দুর্নীতি কমিশন খুলনা অফিসে পাঠায়।
এ ব্যাপারে দুর্নীতি দমন কমিশন খুলনা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. নাজমুল হাসান বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এখনো সেখান থেকে অনুমতি আসেনি। অনুমতি পেলেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
অপরদিকে গত ১৬ দিনেও খোঁজ মেলেনি জেনারেল হাসপাতালের টেকনোলজিস্ট প্রকাশ কুমার দাসের। পরিবারের সঙ্গেও কোনো যোগাযোগ নেই বলে দাবি করেছেন প্রকাশ কুমার দাসের স্ত্রী মাধবী লতা।
এ ব্যাপারে খালিশপুর থানার খালিশপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. কামাল হোসেন জানান, প্রকাশ কুমার দাসের বাড়ি খালিশপুর থানায়। তবে জেনারেল হাসপাতালের ঘটনার পর থেকে তাঁকে পাওয়া যাচ্ছে না। ওই হাসপাতালটি সদর থানা এলাকার মধ্যে হওয়ায় মাধবী লতাকে সদর থানার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।