গাইবান্ধা-৫ আসনের (ফুলছড়ি-সাঘাটা) উপনির্বাচনের প্রচার শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে। প্রার্থীরা ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন। তাঁদের দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত গণসংযোগের পাশাপাশি বিভিন্ন কৌশলে প্রচার চালাচ্ছেন প্রার্থীরা।
প্রচার চালাচ্ছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মাহমুদ হাসান রিপন, জাতীয় পার্টির প্রার্থী গোলাম শহীদ রঞ্জু ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম। স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদুজ্জামান নিশাত ভোট থেকে সরে গেছেন। আগামী ৪ জানুয়ারি এই উপনির্বাচনে ভোট হবে।
জাতীয় পাটির প্রার্থী রঞ্জু নির্বাচনের প্রচারের সময় ভরতখালী বাজারে সাংবাদিকদের বলেন, সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ভোটারদের কাছে যাচ্ছি। আজ সকাল থেকে ঘুরিদহ ইউনিয়নের জাকুরতাড়াই, বটতলাবাজার, সুচেলপুর, ভরতখালী, উল্ল্যাবাজারে গণসংযোগ করেছি। ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার জন্য বলছি। ১২ অক্টোবরের মতো যদি পেশিশক্তি ব্যবহার না করা হয় তাহলে জাতীয় পার্টির বিজয় সুনিশ্চিত। তবে আমি আশঙ্কা করছি গতবারের উপনির্বাচনের মতো আবার আমার দলের নেতা-কর্মীর নামে মামলা, হামলা হবে কি না। ভোটাররাও শঙ্কা প্রকাশ করছেন। ভোট দিতে গেলে ভোটারের কাছ থেকে জোর করে বোতাম চাপ নিয়ে নেওয়া হবে কিনা। এসব নিয়ে শঙ্কায় আছি।’
এদিকে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মাহমুদ হাসান রিপন সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে তিনি দুই উপজেলার ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট চাচ্ছেন। উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটারদের মন জয় করার চেষ্টা করছেন।
গতকাল শনিবার বিকেলে রিপন সাঘাটা উপজেলার কামালেরপাড়া এলাকায় গণসংযোগ করেন। এর আগে শুক্রবার বিকেলে ফুলছড়ি উপজেলা সদর কালিরবাজারে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের গণসংযোগ করেন তিনি। এ সময় তিনি বলেন, ‘উন্নয়নের প্রতীক নৌকার পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এই প্রতীকে ভোট দিলে দেশের উন্নয়ন হয়। যেহেতু আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় রয়েছে তাই আমি নির্বাচিত হলে এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখব।’
গতকাল সন্ধ্যায় বুড়াইল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সম্মেলন কক্ষে উদাখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কর্মিসভায় অংশ নেন রিপন। উদাখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হোসেন আলীর সভাপতিত্বে কর্মিসভায় বক্তব্য দেন গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মাহমুদ হাসান রিপন, ফুলছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিএম সেলিম পারভেজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ এ টি এম রাশেদুজ্জামান রোকন, উদাখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হইবর রহমান হবু, আওয়ামী লীগ নেতা শহিদুল ইসলাম, উদাখালী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহদী মাসুদ পলাশ প্রমুখ।