চিত্রা নদীর পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে খুলনার তেরখাদার মসুন্দিয়ায় ঠাকুরমারার খালের ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত দুই দিনে বিলীন হয়েছে খালের দুই পাশের রাস্তাঘাট ও বসতভিটা। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ছে গ্রামের প্রায় ৪০টি পরিবার। হুমকির মুখে পড়েছে আশপাশের আরও ঘরবাড়িসহ বিভিন্ন ধরনের স্থাপনা।
মসুন্দিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে ঠাকুরমারার খালটি। নদীতে পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তীব্র স্রোতের কারণে খালে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। অনেকে তড়িঘড়ি করে তাঁদের ঘরবাড়ি অন্য এলাকায় সরিয়ে নিয়েছেন। গত শনিবার চিত্রা নদীর পানি বাড়ার কারণে হঠাৎ করে খালের পাড়ে ভাঙনের সৃষ্টি হয়।
এতে খালের দুই পাড়ে বসবাসরত অর্ধ শতাধিক পরিবারের যাতায়াতের রাস্তা, ঘরবাড়ি, গাছপালা ও বিভিন্ন স্থাপনার ব্যাপক ক্ষতি হয়।
ক্ষতিগ্রস্ত শেখ মাহাবুর জানান, তাঁর পাকা বসত ঘর, দুইটি টিউবওয়েল, গাছপালা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে।
শেখ মাহাবুর বলেন, ‘এখন আমরা খুবই আতঙ্কের মধ্যে আছি। ভাঙন অব্যাহত থাকলে আর কয়েক দিনের মধ্যে আরও বাড়িঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।’
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, মরা চিত্রা নদী খননের টিআরএম প্রকল্পের কারণে চিত্রা নদীতে আবারও জোয়ার ভাটা শুরু হয়। আর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নেওয়া পলি মাটি ভরাট উন্নয়ন প্রকল্পের কর্মসূচির কারণে নদীর সঙ্গে মসুন্দিয়া ঠাকুরমারার খালের সংযোগ উন্মুক্ত রাখা হয়। এতে করে ওই এলাকার ৮ থেকে ১০ টি গ্রামের কয়েক হাজার কৃষকের জমিতে দীর্ঘদিন জলাবদ্ধতা থাকায় তাঁরা কোনো ফসল উৎপাদন করতে পারছে না। এ অবস্থায় ফসল উৎপাদন করতে না পেরে অনেক কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
ভাঙন প্রতিরোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন খুলনার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুল আলম।