চৌদ্দগ্রামে এক সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে চাল, মাছ ও গরুর গোশতের দাম। এ ছাড়া সবজির দামও তুলনামূলক বেশি বলছেন ক্রেতারা। এই পরিস্থিতিতে উপজেলার নিম্ন আয়ের লোকেরা নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন। গতকাল শনিবার উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ অবস্থা দেখা গেছে।
সরেজমিন জানা গেছে, গত সপ্তাহের চেয়ে সিদ্ধ মিনিকেট চাল বস্তায় বেড়েছে ২০০ টাকা, পোলাওয়ের চাল কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ১২ টাকা, গরুর গোশত গত সপ্তাহে ৬০০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন হচ্ছে ৬৭০। মাঝারি আকারের রুই ৩২০ টাকা, কাতল ৩০০, তেলাপিয়া ১৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। অপর দিকে ৬০ টাকার নিচে কোনো সবজি পাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়েছে।
এদিকে ক্রেতারা বলছেন, মৌসুমের এই সময়ে টমেটোর কেজি থাকার কথা ছিল ৮-১০ টাকা, সেখানে বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। শুধু আলুর দাম সহনশীল রয়েছে।
চৌদ্দগ্রাম বাজারে আসা ক্রেতা আলী আহমদ বলেন, ‘শুধু আলুর দাম কম আছে। অন্যসব সবজির ঊর্ধ্বমুখী। দেশি প্রজাতির মাছের দাম আকাশছোঁয়া। আমরা যাঁরা মধ্যবিত্ত, আমাদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে এসব। তাই নিরুপায় হয়ে আলু ও ডিম কিনে নিয়ে যাচ্ছি।’
রেহানা বেগম নামের আরেক ক্রেতা বলেন, ‘মাছের বাজারে গিয়ে দেখি, দাম চড়া। গরিবের মাছ হিসেবে পরিচিত পাঙাশের দামও ১৩০ টাকা কেজি। আকারেও ছোট। খাব কী? পরিবারের সদস্য সংখ্যাও বেশি। আয়-রোজগারও কম। বাজারে ছোট মাছও নেই। বাধ্য হয়ে ওই দামেই পাঙাশ মাছ কিনে নিয়ে যাচ্ছি।’
কসাই মাহবুবুল হক বলেন, ‘বর্তমানে গরুর দাম বেড়ে গেছে। কারণ গরুর খাদ্যের দাম বেড়েছে। তাই খামারিরা গরুর দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। এ ছাড়া ভারত থেকে গরু আসছে না। তাই আমরাও দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছি।’
চৌদ্দগ্রাম বাজারের ব্যবসায়ী বিপ্লব সাহা বলেন, ‘মোটা চালের দাম বাড়েনি। বেড়েছে চিকন ও পোলাও চালের দাম। প্রতি বস্তায় বেড়েছে ২০০ টাকার বেশি।’
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর হোসেন বলেন, ‘আমি এ উপজেলায় সবে যোগদান করেছি। বাজার তদারক করা হচ্ছে। কোনো অসাধু ব্যবসায়ী পণ্য মজুত করে দাম বৃদ্ধি করে থাকলে, তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’