চলছে আমনের মৌসুম। মাঠের চারদিকে এখন সবুজ ধানগাছের সমারোহ। তারই মাঝে দুলছে কালো রঙের ধান, যা দেখে থমকে দাঁড়িয়েছেন পথচারী ও মাঠে আগত অনেকে।
দিনাজপুরের হিলিতে ঔষধি গুণের এ ধান চাষ করেছেন বোয়ালদাড় গ্রামের কলেজশিক্ষক মেহেদী খান শামীম। তিনি ৯ বিঘা জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে এই প্রথম এর চাষ করেছেন। এতে সার্বিক সহযোগিতা করেছে স্থানীয় কৃষি অফিস।
শামীম জানান, তিনি নব কৃষি উদ্যোক্তা। অল্প জায়গায় বেশি আয়ের জন্য তিনি ব্ল্যাক রাইস চাষের উদ্যোগ নেন। এর আগেও তিনি পরিত্যক্ত জমিতে নতুন জাতের ফল চাষ করে সফলতা পেয়েছিলেন। সেই সফলতার কথা মাথায় রেখে এখন ব্ল্যাক রাইস চাষ করেছেন। এই পরীক্ষামূলক চাষ সফলতা এলে তা ছড়িয়ে দিতে চান সাধারণ কৃষকদের মধ্যে।
স্থানীয় কৃষক তমিজার ইসলাম ও রফিকুল হক জানান, শামীম নিত্যনতুন ধান ও ফলমূল নিয়ে কাজ করছেন। তাঁর জমিতে লাগানো কালো ধান দেখে অন্যদের মধ্যেও চাষে আগ্রহ বাড়ছে। ধানের ফলন ও দাম ভালো হলে তাঁরাও ভবিষ্যতে এ ধান চাষ করবেন। জমিতে চারা রোপণের সময় থেকেই তাঁরা খেতে গিয়ে তা দেখছেন। মাঠে আসা কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ শুনছেন। তাঁরা আশা করছেন, সামনের বছর থেকে স্বল্প পরিমাণ জায়গাতে হলেও এ কালো ধান চাষ করবেন।
হাকিমপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মমতাজ সুলতানা বলেন, শামীমের ধান রোপণ থেকে শুরু করে কর্তন পর্যন্ত কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হয়েছে। তিনি যে ধান চাষ করেছেন, সেই ধানের চালে অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে। আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা মানবদেহের জন্য খুব উপকারী। কৃষি অফিস সেখান থেকে কিছু কালো ধান সংগ্রহ করেছে। এ ধান চাষে সফলতা এলে সাধারণ কৃষকদের তা চাষ করতে উদ্বুদ্ধ করা হবে।