করোনা পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক হয়নি। জীবন-জীবিকার কথা বিবেচনা করে সরকার লকডাউন শিথিল করলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, নিয়মিত হাত ধোয়া এবং মুখে মাস্ক পরিধানে বাধ্যবাধকতা রেখেছে। কিন্তু বান্দরবানে বিধিনিষেধের এসব শর্ত এখন যেন কাগজে-কলমে।
বাস্তবে মাস্ক পরিধান করা লোকজনের সংখ্যা একেবারেই কম। বরং করোনা পরিস্থিতি থেকে সুরক্ষার জন্য বর্তমানে যাঁরা মাস্ক পরিধান করেন, তাঁরা কোথাও কোথাও হাসির পাত্রে পরিণত হচ্ছেন। মুখে মাস্ক দেখলে অনেকে টিকা-টিপ্পনীও কাটে বলে শোনা যায়।
এ দিকে জনগণ মাস্ক ব্যবহার প্রায় ছেড়ে দিলেও স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে বারবার সতর্ক করা হচ্ছে। বান্দরবান স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে প্রতিনিয়ত মাস্ক পরিধান, শারীরিক দূরত্ব, একত্রে অধিক সংখ্যক মানুষের সমাগম, সাবান-পানি দিয়ে হাত ধোয়া, হ্যান্ড সেনিটাইজার ব্যবহার করার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে।
মাস্ক ব্যবহার কমিয়ে দেওয়ায় শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বান্দরবানের সিভিল সার্জন অংসুই প্রু মারমাও। সবাইকে মাস্ক ব্যবহারের বিষয়ে জোর দিয়ে বলেন, বান্দরবান পর্যটন এলাকা। এখানে পুরো দেশ থেকে মানুষ আসে। আর দেশে এখনো করোনা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ হয়নি। একটু অসতর্কতার জন্য করোনা বাড়তে পারে এখানে।
সিভিল সার্জন ইউরোপে করোনার তৃতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের দেশেও শীত মৌসুমে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। করোনা স্বাভাবিক হয়ে গেছে মনে করে যদি মাস্ক ব্যবহার ছেড়ে দিই বা স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চলি, তাহলে গত বছরের চেয়েও করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে।’
বান্দরবানের বিভিন্ন মসজিদে করোনাকালে অজু করার স্থানে সাবান থাকলেও এখন অধিকাংশ মসজিদেই তা আর দেখা যায় না। জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের সহযোগিতায় বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের সামনে পানির পাইপলাইন বসানো হয়েছিল, সেখানে সাবান রাখা হয়েছিল। কিন্তু গতকালও সদর উপজেলা পরিষদ কার্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে গিয়ে দেখা গেছে পাইপলাইনগুলো প্রায় অকেজো, সাবান নেই।
ডা. অংসুই প্রু মারমা বলেন, মাস্ক পরিধান করার জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার প্রয়োজন রয়েছে।