ঝালকাঠিতে মুক্ত দিবস উপলক্ষে নানা কর্মসূচি পালন করেন জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধারা। ১৯৭১–এর এই দিনে ঝালকাঠি সদর ও নলছিটি উপজেলা পাকিস্তানি হানাদার মুক্ত হয়েছিল। ১৯৭১ সালের এই দিনে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরোধের মুখে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাঁদের দোসররা পালিয়ে যায়।
বিজয়ের বেশে বীর মুক্তিযোদ্ধারা শহরে প্রবেশ করেন। জেলার সব জায়গায় আনন্দ উল্লাসে মেতে ওঠেন স্বাধীনতাকামী জনতা। ১৯৭১–এর ২৭ এপ্রিল ভারী কামান আর মর্টার শেলের গোলা নিক্ষেপ করতে করতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ঝালকাঠি শহরের দখল নেয়। এরপর থেকে পাকিস্তানি বাহিনী রাজাকারদের সহায়তায় ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলা জুড়ে হত্যা, ধর্ষণ আর লুটপাটসহ নারকীয় নির্যাতন চালায়।
প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে নিরীহ বাঙালিদের ধরে নিয়ে নির্মম নির্যাতন চালানো হতো। তাঁদের পৌরসভা খেয়াঘাট এলাকায় সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যা করা হতো। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রবল প্রতিরোধে টিকতে না পেরে ৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় শহরে কারফিউ জারি করে রাতের আঁধারে ঝালকাঠি ছেড়ে পালিয়ে যায় পাকিস্তানি বাহিনী। পরে মুক্তিযোদ্ধারা থানা ঘেরাও করে সন্ধ্যায় ঝালকাঠি থানার পুলিশকে নিরস্ত্র করেন।
৮ ডিসেম্বর ঝালকাঠি শহর মুক্ত হয়। এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধারা শহরে বিজয় মিছিল বের করেন। একইদিন হানাদারমুক্ত হয় নলছিটি উপজেলা।