হোম > ছাপা সংস্করণ

করোনা টিকায় পিছিয়ে কুমিল্লা

কুমিল্লা প্রতিনিধি

করোনাভাইরাসের টিকা নেওয়ার দিক দিয়ে পিছিয়ে রয়েছে কুমিল্লা জেলা। এ ছাড়া গেল ডিসেম্বর মাসের এক জরিপে দেশের সর্বনিম্ন টিকাগ্রহীতা ১৫ জেলার মধ্যেও স্থান পেয়েছে কুমিল্লা। জেলা ডেপুটি সিভিল সার্জন নিসর্গ মেরাজ চৌধুরী এ তথ্য জানান। তবে এ থেকে উত্তোলনের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জেলায় করোনাভাইরাসের টিকার জন্য নিবন্ধিত জনগোষ্ঠীর ৪২ শতাংশ মানুষকে টিকার এক ডোজের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। সিটি করপোরেশনের ক্ষেত্রে এই পরিসংখ্যান কিছুটা এগিয়ে ৬০ শতাংশের কাছাকাছি। তবে উপজেলা পর্যায়ে এই হার মাত্র ৩৯ শতাংশ।

এদিকে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, ডিসেম্বরে কম থাকলেও জানুয়ারিতে এর উন্নতি হবে। কারণ এবার জেলায় কলেজ ও স্কুলশিক্ষার্থীদেরও করোনার টিকা দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি স্কুল-কলেজে যায় না, এমন শিশু ও কিশোরদেরও টিকার আওতায় আনা হচ্ছে। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী; যাঁরা অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের কিছুই বোঝে না, তাঁদের টিকার আওতায় আনার জন্য মহল্লায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে কাজ করছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। তা ছাড়া বিভিন্ন আশ্রয়ণ প্রকল্পের লোকজন, তৃতীয় লিঙ্গের লোকজন, কলকারখানার শ্রমিকদের জন্য বিশেষ ক্যাম্পেইনসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

জানুয়ারি মাস থেকে শুরু হয়েছে বিশেষ প্রকল্পের কার্যক্রম। প্রকল্পটি জেলার মনোহরগঞ্জ উপজেলায় প্রাথমিকভাবে শুরু হলেও এখন কয়েকটি উপজেলায় কাজ চলছে। সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) কর্মীরা যারা স্কুল কলেজে যায় না, তাদের বাড়িতে গিয়ে টিকা দিচ্ছেন। সপ্তাহে দুদিন বিশেষ ক্যাম্পেইনে ২০০ জনকে টিকা দেওয়া হচ্ছে।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ আরও জানায়, জেলায় করোনা টিকার জন্য মোট নিবন্ধিতদের সংখ্যা ২৬ লাখ ৭৯ হাজার ১৯০ জন। এর মধ্যে ২৬ লাখ ৯ হাজার ৮৩ জন এক ডোজ টিকার আওতায় এসেছেন।

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ইউনুছ ফারুকী বলেন, ‘খুব দ্রুতই স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থীদের, ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী, টিকার আওতায় আনা হচ্ছে। আমাদের মোট শিক্ষার্থী রয়েছে পাঁচ লাখ ৮৩৭ জন। গতকাল বুধবার পর্যন্ত চার লাখ ২১ হাজার ৭১২ জন শিক্ষার্থীকে প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১৪ হাজার ৭৩৫ জন। এ সপ্তাহের মধ্যে আমাদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ বলে বলে আশা করি।’

জেলা ডেপুটি সিভিল সার্জন নিসর্গ মেরাজ চৌধুরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী করোনাভাইরাসের টিকা প্রান্তিক পর্যায়ে সবার জন্য সহজলভ্য করতে চাই। সে লক্ষ্যে আমাদের পিছিয়ে পড়া লোকজনদের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় তালিকা করে বিশেষ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে টিকার ব্যবস্থা করছি।

এ ছাড়া ডিসেম্বর মাসে টিকা গ্রহীতার দিক দিয়ে দেশের পিছিয়ে পড়া ১৫ জেলার মধ্যে কুমিল্লা রয়েছে। জানুয়ারি মাসে শিক্ষার্থীদের টিকাসহ আমাদের বিশেষ প্রকল্প মাধ্যমে টিকা দেওয়ার ফলে টিকা কার্যক্রমে আরও অনেক দুর এগিয়ে যাব। আমাদের বিশেষ প্রকল্পের পরিকল্পনাটি কুমিল্লা থেকেই শুরু হয়েছে। এটি এখন দেশের অন্যান্য জেলায়ও শুরু করা হচ্ছে।’

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ