মেঘনা উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে কৃষকদের ২ কোটি ৪৬ লাখ ১৬ হাজার ৫২০ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রমতে, উপজেলার ৫৬৫ জন কৃষক ১৮০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ করেন। এর মধ্য ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ১৪০ হেক্টর জমির শতভাগ ক্ষতি হয়। যার বাজার মূল্য ১ কোটি ৫৮ লাখ ৩ হাজার ৬০ টাকা। এ ছাড়া ৩১০ জন কৃষক ৩ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেন। এর মধ্যে ৩ হেক্টর জমিরই ক্ষতি হয়। যার বাজার মূল্য ১১ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
এ দিকে ৩ হাজার ৫৬০ জন কৃষক ২ হাজার ৮৭৪ হেক্টর জমিতে গম, সবজি, মসুর ডাল, মাস কালাই, খেসারি, মটর, রসুন, ধনে, মরিচ, ক্ষীরা ও ভাঙি চাষ করেন। যার ৪৫১.৫ হেক্টর ক্ষতি হয়। যার বাজার মূল্য ৭৬ লাখ ৩৩ হাজার ৪৬০ টাকা।
উপজেলার মির্জানগর গ্রামের কৃষক শাহাবুদ্দিন। তিনি ২৫০ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেন। তিনি বলেন, ‘আলু বীজ জমিতে রোপণ করতেই টানা বৃষ্টিতে সব ভেসে গেছে। ধার–কর্জ করে এখন নতুন করে আবার আলু বীজ বুনেছি।’
সোনাকান্দা গ্রামের আলু চাষি মো. ডালিম বলেন, ‘টানা বৃষ্টি আমার জীবন শেষ করে দিয়েছে।’
বড় নোয়াগাও গ্রামের নাছির বলেন, ৫০ বিঘা জমিতে আলু চাষ করে শতভাগ নষ্ট হয়ে গেছে। কৃষি অফিস থেকে লোক এসে লিখে নিয়েছে। সরকারের কাছে মিনতি, জীবনডা বাঁচাতে চায়।’
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আমরা ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের কি পরি মান ক্ষতি হয়েছে, তাঁর তালিকা করেছি। যদি কোনো প্রণোদনা সরকার দেয়, আমরা সুষ্ঠুভাবে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের মধ্যে বিতরণ করব।’