অনুকূল পরিবেশ থাকলেও স্বাধীনতার ৫০ বছরেও নড়াইলে বিসিক শিল্পনগরী গড়ে ওঠেনি। ১৯৯০ সাল থেকে চেষ্টা করলেও তা আলোর মুখ দেখেনি।
সর্বশেষ ২০২১ সালে শহরতলি ধোপাখোলায় প্রায় ২০০ একর জায়গা নির্ধারণ করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। গত ২৫ ডিসেম্বর বিসিক চেয়ারম্যান নড়াইলে এসে বিসিক শিল্প নগরী স্থাপনের ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছেন।
জানা গেছে, দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে নড়াইল, মাগুরা ও বান্দরবান জেলা বাদে ৬১টি জেলায় বিসিক শিল্পনগরী গড়ে উঠেছে।
জানা গেছে, ১৯৯৮ সালে নতুন করে শহরতলি বোড়াবাদুরিয়া-সীমাখালি মৌজার ১৫ একর জমি নির্বাচন করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। কিন্তু নড়াইলের ব্যবসায়ীদের একটি অংশ এটা সন্ত্রাসী এলাকা এবং অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার কথা বলে এ জায়গার বিরোধিতা করলে শিল্প নগরির কার্যক্রম থেমে যায়।
২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর শহর থেকে ৪ কিলোমিটার পশ্চিমে বাশভিটায় শিল্পনগরীর জন্য ১৫ একর জমি ক্রয়ের সুপারিশ ঢাকায় পাঠানো হলেও বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে স্থানীয় একটি মহল বাঁধা দেয়।
সর্বশেষ ২০২১ সালে শহরের ধোপাখোলা এলাকায় উজিরপুর মৌজায় শিল্প নগরী গড়ে তোলার আশ্বাস দিয়ে জেলা প্রশাসককে ২০০ একর জমি অধিগ্রহণের জন্য নির্দেশনা দেওয়ার পর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। এভাবে ৩৪ বছরে ৪ বার জায়গা নির্ধারণ কার্যক্রমেই সীমাবদ্ধ রয়েছে নড়াইল বিসিক শিল্পনগরীর।
নড়াইল চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মো. হাসানুজ্জামান জানান, নড়াইল-মাওয়া-ঢাকা মহাসড়ক এবং চিত্রা নদীর পার্শ্বে বিসিক শিল্প নগরী গড়ে উঠলে দেশের বড় বড় ব্যবসায়ী এবং উদ্যোক্তা এখানে শিল্প প্রতিষ্ঠান করার জন্য আগ্রহী হবেন। ফলে নড়াইলের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। তিনি আরও বলেন, শুধু জায়গা নির্ধারণ নয়, চাই শিল্প নগরী গড়ে ওঠার জরুরি পদক্ষেপ।
নড়াইল বিসিক কার্যালয়ের উপ-ব্যবস্থাপক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, গত ২৫ ডিসেম্বর বিসিক চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমান অনির্ধারিত এক সফরে নড়াইলে এসেছিলেন। এদিন বিসিক শিল্প নগরী স্থাপনের ব্যাপারে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন। নড়াইলে ২০০ একর জমির ওপর বিসিক শিল্প নগরী স্থাপনে ডিপিপি প্রণয়ন করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের পাঠানো হয়েছে। আশা করি দ্রুত বিসিক নগরী নড়াইলে গড়ে উঠবে।