মার্কস দৃষ্টি সপ্তম জাতীয় বিতর্ক উৎসবের সমাপনী ও সম্মাননা অনুষ্ঠান গত শুক্রবার রাতে শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘যুক্তি আছে বচনে, যুক্তি আছে বিশ্বাসে, নতুন স্বপ্নের উল্লাসে, দৃষ্টি এখন ত্রিশে’ স্লোগানে ৩০ বছর পূর্তিতে দৃষ্টি চট্টগ্রাম এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে ‘স্বাধীনতার ৫০ বছরেও চট্টগ্রামকে আধুনিক বন্দর নগরীতে পরিণত করতে ব্যর্থ’ বিষয়ে বিতর্কের আয়োজন করা হয়। সংস্কৃতিকর্মী ও ব্যাংকার মোহাম্মদ রোসাঙ্গীরের সভাপতিত্বে এই বিতর্কে অংশগ্রহণ করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদুল আলম সুজন, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ডা. আব্দুন নূর তুষার, নগর-পরিকল্পনাবিদ দেলোয়ার হোসেন মজুমদার ও কনফিডেন্স সিমেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জহির উদ্দিন।
বিতর্ক করতে গিয়ে ডা. আব্দুন নূর তুষার বলেন, আধুনিক বন্দর নগরীতে থাকা উচিত পর্যটকদের জন্য উপযুক্ত আবাসন ও স্বাস্থ্যব্যবস্থা, আধুনিক যোগাযোগব্যবস্থা, সঙ্গে উন্নত ও উপযুক্ত বর্জ্য পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা। চট্টগ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রক্ষার পাশাপাশি উপযুক্ত চিকিৎসা, সড়ক ও আবাসনব্যবস্থা তৈরি করতে প্রয়োজন সদিচ্ছা ও ঐকমত্য।
জহির উদ্দিন আহমেদ বলেন, চট্টগ্রাম এই উপমহাদেশের খুবই গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল। চট্টগ্রামের উন্নয়ন নিয়ে কথা বলা মানে উপমহাদেশের অর্থনীতি নিয়ে কথা বলা।
দেলোয়ার হোসেন মজুমদার বলেন, ‘আমাদের সর্বগ্রাসী মনোভাব চট্টগ্রামকে নষ্ট করে ফেলছে। নগরের নাগরিকদের সচেতন ও দায়িত্ববান হতে হবে।’
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদুল আলম সুজন বলেন, ঐতিহাসিকভাবে চট্টগ্রাম একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর। সমন্বিত উন্নয়ন ছাড়া শহরের আধুনিকায়ন সম্ভব নয়।
বিতর্ক শেষে দৃষ্টি চট্টগ্রামের সভাপতি মাসুদ বকুলের সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন দৈনিক আজাদীর সম্পাদক এম এ মালেক।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন দৃষ্টি চট্টগ্রামের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি সাইফ চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. আদনান মান্নান, দৃষ্টির সহসভাপতি শহিদুল ইসলাম, মুজিবুর রহমান মনি, সাধারণ সম্পাদক সাবের শাহ, যুগ্ম সম্পাদক সাইফুদ্দিন মুন্না, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী আরফাত, দপ্তর সম্পাদক মুন্না মজুমদার প্রমুখ।