খুলনা মুক্ত দিবস ছিল গতকাল ১৭ ডিসেম্বর। অথচ এবার কোনো কর্মসূচি ছাড়াই নীরবে চলে গেছে দিবসটি। এমনকি জেলা প্রশাসন কিংবা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পক্ষ থেকেও নেওয়া হয়নি কোনো কর্মসূচি।
১৯৭১ এর ১৬ ডিসেম্বর যেখানে সারা দেশে বিজয় মিছিল চলছে সেখানে তার এক দিন পরও খুলনায় চলেছে যুদ্ধ। গল্লামারী ও শিরোমনিতে দুপক্ষের মেশিনগান, ট্যাংক আর যুদ্ধ বিমান গর্জে ওঠে। পরে ১৭ ডিসেম্বর দুপুর দেড়টার দিকে খুলনা সার্কিট হাউস ময়দানে মিত্রবাহিনীর ৯ ইনফেন্ট্রি ডিভিশনের অধিনায়ক মেজর জেনারেল দলবীর সিংহ-এর কাছে আত্মসমর্পণের দলিলে স্বাক্ষর করে পাকিস্তান বাহিনীর ১০৭ খুলনা সদর দপ্তরের অধিনায়ক ব্রিগেডিয়ার মো. হায়াত খান। এরপরই বিজয়ের পতাকা ওড়ে খুলনায়।
দিবসটিতে কোনো কর্মসূচি না থাকার বিষয়ে মহানগর মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের কমান্ডার অধ্যাপক মো. আলমগীর কবির বলেন, ‘দিনটি নীরবে চলে গেছে বিষয়টি এমন নয়; ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে খুলনা মুক্ত দিবস নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
এ বিষয়ে খুলনা নাগরিক সমাজের সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট বাবুল হালদার বলেন, ‘খুলনামুক্ত দিবস উপলক্ষে কোনো কর্মসূচি না থাকাটা দুঃখজনক। ভুল প্রত্যেকেরই হয়েছে। তবে ভবিষ্যতে দিবসটি উপলক্ষে নাগরিক সমাজের কর্মসূচি থাকবে।’ এর পাশাপাশি জেলা প্রশাসন ও রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি কর্মসূচি নেওয়ার বিষয়ে আহ্বান জানান তিনি।