হোম > ছাপা সংস্করণ

২১ কোটি টাকার সেতু সড়কের অভাবে অলস

শেরপুর প্রতিনিধি

এক বছরেরও বেশি সময় আগে প্রায় ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে সেতুটি। কিন্তু এখনো সংযোগ সড়ক হয়নি। তাই সেতুটি ব্যবহার করতে পারছেন না আশপাশের কয়েক গ্রামের বাসিন্দা। শেরপুরের শ্রীবরদীতে মৃগী নদীর ওপর নির্মিত এ সেতুটি নির্মাণ করা হয় ২০২১ সালে। কিন্তু তা এলাকাবাসীর কোনো কাজেই আসছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে ঝুঁকি নিয়ে পুরোনো সেতু দিয়েই যাতায়াত করছে যানবাহন ও পথচারী।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ভূমি অধিগ্রহণের টাকা পরিশোধ না করেই সেতু নির্মাণ করায় দেখা দিয়েছে এ জটিলতা। তবে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ বলছে, সব জটিলতা কাটিয়ে জমি অধিগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। শিগগিরই সংযোগ সড়কের নির্মাণকাজ শুরু হবে।

জানা গেছে, ৮২ কোটি ৩৪ লাখ টাকা ব্যয়ে শেরপুর (আখেরমামুদের বাজার) থেকে লঙ্গরপাড়া হয়ে শ্রীবরদী উপজেলা সড়কটির উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ কাজ শেষ হয়। ১৪ দশমিক ৫০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ওই সড়কের লঙ্গরপাড়া এলাকায় মৃগী নদীর ওপর প্রায় ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৯৪ দশমিক ২৭ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি সেতু নির্মাণ শেষ হয় গত বছরের শেষদিকে। গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি দিয়ে শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলা এবং জামালপুরের বকশীগঞ্জ, কুড়িগ্রামের রৌমারী, রাজীবপুর থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহগামী যানবাহন চলাচল করে থাকে। সড়ক ও সেতুর পুরো কাজ শেষ হলেও সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করায় এটি ব্যবহার করতে পারছেন না স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, ভূমি অধিগ্রহণে ধীরগতি ও জমির মূল্য পরিশোধ না করায় এত দিন সংযোগ সড়ক নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়নি। তাই প্রতিদিন ওই সড়কে থাকা ভাঙা সেতুটি দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন ও মানুষজন।

মোটরসাইকেলচালক মো. ফিরোজ মিয়া জানান, আগের সরু, ভাঙা সড়ক ও সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচলের কারণে প্রায় সময়ই দুর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে। তাই নতুন সেতুটিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে চালু করা প্রয়োজন।

তহিজুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘আমি লঙ্গরপাড়া বাজারের একটি স্কুলে চাকরি করি। প্রতিদিনই এ সড়ক দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করি। অথচ কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতু ফেলে রাখা হয়েছে। একটুখানি রাস্তার জন্য সেটি চালু হচ্ছে না। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করে সেতুটি চালু করার দাবি জানাচ্ছি।’

অটোরিকশাচালক মো. আবুল কালাম বলেন, এ সড়ক দিয়ে চলাচল করলে গাড়ি বারবার নষ্ট হয়ে যায়। খুব রিস্ক নিয়ে যাতায়াত করতে হয়। যাত্রীদেরও কষ্ট হয়।

স্কুলশিক্ষার্থী আশামনি বলেন, ‘প্রতিদিনই ভাঙা সড়ক দিয়ে স্কুলে যেতে হয়। চলাচলের সময় খুব ভয় করে। অথচ অল্পখানি রাস্তা হয়ে গেলেই নতুন ব্রিজ দিয়ে যাতায়াত করতে পারতাম।’ একই কথা জানায় শিক্ষার্থী নয়ন মিয়া, সোহেল আহেমদসহ অনেকেই।

এ বিষয়ে শেরপুর সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ইতিমধ্যে জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত সব জটিলতা শেষ হয়েছে। অধিগ্রহণের জন্য ৮ কোটি ৮২ লাখ ৯৬ হাজার টাকা জেলা প্রশাসনকে দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসন জমি অধিগ্রহণ করে বুঝিয়ে দিয়েছে। তিনি আশা করেন খুব দ্রুত সংযোগ সড়কের নির্মাণকাজ শুরু করা হবে। 

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ