হোম > ছাপা সংস্করণ

নীল জিনস

আলী যাকের

জীবনে প্রথমবারের মতো বিদেশ সফরে গেছেন আলী যাকের। মুস্তাফা নূরউল ইসলামের সঙ্গে। সে সময় জার্মানি ছিল বিভক্ত। পূর্ব জার্মানি ছিল সোভিয়েত বলয়ের দেশ। বার্লিন সে দেশের রাজধানী। বার্লিনে থাকার সময় একদিন ব্রেকফাস্ট সেরে আলী যাকের একটু ঘোরার জন্য বের হতে চাইলেন। মুস্তাফা নূরউল ইসলাম বললেন, ‘আমার দু-একটা ছোটখাটো জিনিস কেনার আছে। তবে এখনো তো কয়েক দিন আছি, পরে দেখা যাবে।’

বার্লিনের সোনালি রোদে একাই হাঁটতে বের হলেন আলী যাকের। মৃদুমন্দ বাতাস বইছে। তাঁর পরনে হালকা একটা পাতলা জ্যাকেট আর জিনস। ছোটখাটো বাগান, নীরব রাস্তা। ঐতিহাসিক ব্রান্ডেনবুর্গ ফটক দেখে রোমাঞ্চিত হলেন।

এবার ফেরার পালা। ফেরার সময় হঠাৎ পেছন থেকে শুনতে পেলেন একটি নারীকণ্ঠ, ‘স্যার।’

ফিরে দেখেন অতি সুন্দরী এক যুবতী। প্রথমবার বিদেশে আসা—নারীকণ্ঠের ডাক শুনে ভড়কে গেলেন তিনি। মেয়েটা জার্মান ভাষায় বলল, ‘স্প্রাখেন সি ডয়েচ?’ (তুমি কি জার্মান বলতে পারো?) 

ইংরেজিতে আলী যাকের জবাব দিলেন, ‘নো।’  

ভাঙা ইংরেজিতে মেয়েটি বাংলাদেশ সম্পর্কে নানা কথা বলতে লাগল। আসলেই বাংলাদেশকে সে চেনে। হোটেলে পৌঁছে হোটেলের কফিশপে দুজনের জন্য দুই পেয়ালা কফি নেওয়া হলো।

এরপর এক অদ্ভুত প্রশ্ন করে বসল মেয়েটি, ‘তুমি যে জিনস পরে আছ, সে রকম আর কি আছে তোমার?’ আলী যাকের বললেন, ‘না।’
দমে গেল মেয়েটা। তারপর প্রবল উৎসাহে বলল, ‘আমি যদি তোমাকে ১০০ ফেনিগ (জার্মান মুদ্রা) জোগাড় করে দিই, তুমি কি তোমার পরনের জিনসটা আমাকে দেবে?’

 ‘এটা তো পুরোনো জিনস!’ 
 
‘আমার তাতেই চলবে।’ বলল মেয়েটা। 

আসলে পশ্চিম জার্মানির ছেলেমেয়েরা তখন ফ্যাশনেবল হয়ে উঠেছে, কিন্তু পূর্ব জার্মানির লোকেরা পরছে মান্ধাতার আমলের কাপড়চোপড়। একটা জিনস তাই সেখানে বিক্রি হতো সোনার দরে। 

সূত্র: আলী যাকের, দূরে কাছে স্বর্গ আছে, পৃষ্ঠা ৬৮-৬৯

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ