হোম > ছাপা সংস্করণ

বৃষ্টির পর কনকনে শীতে জনজীবনে স্থবিরতা

মো. জাকিরুল ইসলাম, হালুয়াঘাট

‘মাঘের শীত বাঘের গায়ে লাগে’-সবশেষ তিন দিনে এই প্রবাদটি মিলে গেছে সীমান্তবর্তী উপজেলা হালুয়াঘাটের মানুষের জীবনে। দুই দিনের গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির পর কনকনে শীত আর হিমেল হাওয়া জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। মাঘের মধ্যভাগে এসে শীত বেড়ে যাওয়ায় কাহিল হয়ে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, গত কয়েক দিন ধরে কমছে তাপমাত্রা। দেখা নেই রোদের। এতে ঠান্ডাজনিত রোগ ও জ্বরে ভুগছে মানুষ। শীত জেঁকে বসেছে সর্বত্র। ফলে মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছেন কম। এ অবস্থায় শ্রমজীবী মানুষের কষ্ট বেড়েছে কয়েক গুন। বিভিন্ন এলাকার মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।

উপজেলার ধুরাইল ইউনিয়নের গোরকপুর গ্রামের আলমগীর অন্যের জমিতে দিনমজুর হিসেবে কাজ করতেন। কিন্তু সকাল থেকে ঠান্ডা বাতাস ও বৃষ্টি হওয়ায় কাজে যেতে পারেননি। তিনি বলেন, সকাল থেকে বৃষ্টির সঙ্গে ঠান্ডা বেশি থাকায় কাজে যাইনি।

গতকাল শনিবারও দুপুর পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি। এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে জেলার হালুয়াঘাট উপজেলায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে শীতের তীব্রতা আরও বৃদ্ধি পায়। এই তাপমাত্রা আরও কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। হালুয়াঘাটে তাপমাত্রা আরও কমলে মানুষ বেশি বিপাকে পড়বেন বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

এদিকে উপজেলায় বিভিন্ন এলাকায় ঠান্ডাজনিত রোগ ও জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষ। এতে ফার্মেসিগুলোতে ভিড় বেড়েছে রোগী ও তাঁদের স্বজনদের।

ধুরাইল এলাকায় গিয়ে দেখা যায় দলবদ্ধভাবে কয়েকজন খড়কুটো দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। কথা হয় সোহাগের সঙ্গে। তিনি জানান, দুই দিন গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হওয়ায় ঠান্ডা বেশি থাকায় কাজে যেতে পারেননি। শীত নিবারণের জন্য আগুন জ্বালিয়ে গায়ে তা দিচ্ছেন।

দুপুরে উপজেলার ধারা বাজারে কথা হয় রিকশাচালক তমির উদ্দিনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘সকালে আইসা একটা খ্যাপ মারছি ৩০ ট্যাহার। হের পর থাইকা বইসা রইছি, এক টাকাও ভাড়া পাই নাই। শীত বেশি থাকায় মানুষজন রিকশায় কম উঠতে চায়। একদিকে বৃষ্টি অন্যদিকে শীত। আমরা গরিবরা বিপদে আছি।’

উপজেলার বিলডোরা বাজার এলাকার মানিক মিয়া নামে একটি ফার্মেসির মালিকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত কয়েক দিন ধরে শীত ও ঠান্ডা বাতাস বেশি থাকায় মানুষ জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন। এতে মানুষের দুর্ভোগ আরও বেড়েছে বলে জানান তিনি।

তিন দিন ধরে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় মানুষের পাশাপাশি পশু-পাখি ও গবাদিপশুও কাহিল হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন সাব্বির নামে এক খামারি।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আলাল উদ্দিন বলেন, গত কয়েক দিন ধরে তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় উপজেলায় শীতের তীব্রতা বেড়ে গেছে। ইতিমধ্যে আমরা ইউপি চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে শীতার্তদের শীত নিবারণের জন্য কম্বল বিতরণ শুরু করেছি।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ