হোম > ছাপা সংস্করণ

চাঁদা তুলছেন কারা?

কুমিল্লা প্রতিনিধি

যানজট নিরসন কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড়সহ সব অবৈধ স্ট্যান্ড উচ্ছেদ করা হবে। তাই অবৈধ স্ট্যান্ড থেকে অটোরিকশা জব্দ করছে জেলা ট্রাফিক বিভাগ। এদিকে কিছু ব্যক্তি রাজনৈতিক নেতা ও প্রশাসনকে ম্যানেজ করার নামে পরিবহন শ্রমিক সংগঠন ও চালক-মালিক পক্ষ থেকে চাঁদা আদায় করছেন। মাসিক চাঁদা দেওয়ার পরও ট্রাফিক পুলিশ কান্দিরপাড়সহ বিভিন্ন স্থান থেকে কেন সিএনজিচালিত অটোরিকশা জব্দ করছেন, তা নিয়ে শ্রমিক সংগঠন ও চালক-মালিকদের ক্ষোভ।

তাই টোকেন বাণিজ্য ও চাঁদাবাজির অভিযোগে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন অটোরিকশার চালক ও মালিকেরা। গতকাল বুধবার সকালে নগরীর কচুয়া চৌমুহনীতে তাঁরা এ বিক্ষোভ করেন। এ সময় তাঁরা সকাল ৯টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত অটোরিকশা বন্ধ রাখেন।

পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শুভাশিস ঘোষ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল হাই বাবলু ও জেলা ট্রাফিক বিভাগের পরিদর্শক এমদাদুল হকের আশ্বাসে সড়ক থেকে সরে আসেন চালকেরা।

আন্দোলনকারী ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালক নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘আমরা নগরীতে চাঁদাবাজদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে গেছি। প্রতি মাসে বিভিন্ন সংগঠন আমাদের কাছ থেকে রাজনৈতিক নেতা, ট্রাফিক পুলিশসহ বিভিন্নজনকে ম্যানেজ করার নাম করে টাকা নেন। আমাদের টোকেন দেন, যাতে কেউ হয়রানি না করে। অথচ আমরা এখনো হয়রানির শিকার হচ্ছি।’

বিক্ষোভকারী সুমন বলেন, ‘সংগঠনকে মাসিক চাঁদা, প্রতিটি মোড় পার হওয়ার সময় চাঁদা, মাসিক ১ হাজার ২০০ টাকায় টোকেন সংগ্রহ না করলে বিভিন্ন হয়রানি, ট্রাফিক পুলিশের নামে চাঁদাসহ বিভিন্ন অজুহাতে আমরা চালক ও মালিকেরা হয়রানি হচ্ছি।’

জেলা অটোরিকশা চালক শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. আলম বলেন, ‘আমাদের সংগঠন শ্রমিকদের স্বার্থ আদায়ে কাজ করে। আমরা কোনো টোকেন বাণিজ্যর সঙ্গে জড়িত নেই। শুনেছি একটি চক্র এই টোকেন বাণিজ্যর সঙ্গে জড়িত। আমাদের সংগঠন থেকে ট্রাফিক বিভাগকে বলা হয়েছে, যে সকল যানবাহনের কাগজপত্র নাই, তা জব্দ করে নিয়ে যেতে। যাঁদের গাড়ির কাগজপত্রে মেয়াদ নাই, মামলা দিয়ে গাড়ি ছেড়ে দিতে। অথচ সব গাড়ি জব্দ করায় শ্রমিকেরা আন্দোলন করেছেন।’

জেলা ট্রাফিক পরিদর্শক এমদাদুল হক বলেন, ‘নগর যানজট নিরসন কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক নগরীতে অবৈধ স্ট্যান্ড বসতে দেওয়া যাবে না। আমরা এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করছি। সবাইকে বলার পরও এসব স্ট্যান্ডে গাড়ি রাখায় জব্দ করছি। তাতে অনেক চালক উল্টো ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছেন। ট্রাফিক পুলিশের নামে কেউ হয়রানি করলে, চালকদের আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেছি।’

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ