বঙ্গোপসাগর থেকে মাছ ধরে ফেরার পথে কক্সবাজারের মহেশখালীর সোনাদিয়া চ্যানেলে ‘এফবি মায়ের দোয়া’ ও ‘এফবি রিফাত’ নামের দুটি ট্রলারে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ৪ জন গুলিবিদ্ধসহ ১৫ জেলে আহত হয়েছেন। দুই ট্রলার থেকে ১০ লাখ টাকার মাছ ও মালামাল লুট করে ইঞ্জিন নষ্ট করে দিয়েছে ডাকাতেরা।
গত মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে সোনাদিয়া চ্যানেলের পশ্চিমে গুলিদার নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। জেলেদের বরাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ট্রলারের মালিক আমির হোসেন।
গতকাল বুধবার সকালে জেলা পুলিশের একটি দল আহত জেলেদের উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠিয়েছে।
আহত জেলেরা হলেন আজিজুল হক ওরফে বাঁশি মাঝি, জাগির হোসেন, এন্ডা মিয়া, নছর উল্লাহ, শামসু আলম, জাহাঙ্গীর আলম, তারেক, সোলতান, ছালামত উল্লাহ, সাকের উল্লাহ, মো. হোছন, মনছুর আলী, আনজু মিয়া, আলী মাঝি, আব্দুল্লাহ, পুতু মিয়া, মোহাম্মদ।
তাঁরা সবাই মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।
আহতদের মধ্যে আজিজুল হক ওরফে বাঁশি মাঝির অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এমবি রিফাতের মাঝি আজিজুল হক বলেন, ‘গত মঙ্গলবার রাতে মাছ আহরণ শেষে ফেরার পথে গুলিরদার নামক এলাকায় মুখোশধারী ৩০-৩৫ জনের ডাকাত দল একটি ট্রলার থেকে আমাদের ট্রলার থামাতে বলে। পরে তারা ট্রলারে উঠে আমাদের মাছ ও জাল ছিনিয়ে নেয়। পরে টাকার জন্য মারধর করে। ভোরের দিকে আমাদের ট্রলারের ইঞ্জিন নষ্ট করে দিয়ে তারা পালিয়ে যায়।
এমবি রিফাতের মালিক আমির হোসেন কোম্পানি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা না থাকায় আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে ডাকাতেরা। তারা আমাকে মোবাইলে টাকা পাঠানোর জন্য বলেছিল। টাকা না পাঠানোর কারণে জেলেদের ওপর নির্যাতন করা হয়েছে।
এফবি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি আলী আহমেদ বলেন, ‘ডাকাতেরা শুধুই বলছিল মালিকের কাছ থেকে টাকা আনতে। আমার ট্রলারে আহরণ করা অন্তত ১০ লাখ টাকার মাছ নিয়ে গেছে ডাকাতেরা।’ তারা সবাই বাঁশখালী, কুতুবদিয়া ও মহেশখালী এলাকার বলে জানান তিনি।
মহেশখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আশিক ইকবাল বলেন, ‘ভুক্তভোগীরা সবাই কুতুবজোমের হলেও ঘটনাটি আমাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকার বাইরে। এ পর্যন্ত ভুক্তভোগীর কেউ থানায় অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আমরা ব্যবস্থা নেব।’