প্রায় ১৮ ঘণ্টা তল্লাশির পর মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে সুন্দরবনের পায়রাটুলি খাল সংলগ্ন এলাকা থেকে বাঘে ধরা জেলে মুজিবর রহমানের অর্ধ খাওয়া মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বন বিভাগ, কোস্টগার্ড ও নিহতের সঙ্গীসহ স্থানীয়দের যৌথ অভিযানে চল্লিশোর্ধ্ব ওই জেলের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত মুজিবর রহমান ছিলেন শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের পার্শ্বখালী গ্রামের আক্কাস আলী গাজীর ছেলে। জানা গেছে, মীরগাং এলাকার অহিদুল ইসলামের নৌকার ভাড়াটে শ্রমিক হিসেবে চারদিন আগে কৈখালী স্টেশন থেকে পাস নিয়ে তিনি সুন্দরবনে যায়। কাঁকড়া শিকারের একপর্যায়ে সোমবার বিকেল চারটার দিকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ডাঙায় উঠে বাঘের আক্রমণের শিকার হন মুজিবর রহমান।
নিহত জেলের নৌকার মালিক অহিদুল জানান, মুজিবর বনে যাওয়ার কয়েক মুহূর্ত পর থেকে তার কোন সাড়া মিলছিল না। ডাকাডাকির পর অন্যরা বনে গিয়ে রক্ত দেখতে পেয়ে তার বাঘের কবলে পড়ার বিষয়টি নিশ্চিত হই। এ সময় বন বিভাগের অফিসসহ পার্শ্ববর্তী জেলেদের সাহায্য চেয়ে উদ্ধার অভিযানে গিয়ে রাত হয়ে যায়। একপর্যায়ে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে ডান পাসহ ঘাড়ের কিছু অংশ খাওয়া অবস্থায় মুজিবরের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক এম এ হাসান জানান, সুন্দরবনের অনেকটা গভীরে হওয়াতে উদ্ধার অভিযানে সময় লাগলেও অবশেষে মৃতদেহ উদ্ধার করা গেছে। যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন শেষে মৃতদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বন বিভাগের আইন অনুযায়ী নিহত জেলের পরিবারকে তিন লাখ টাকা দেওয়া হবে বলেও তিনি নিশ্চিত করেন।
প্রসঙ্গত ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে সোমবারের ঘটনা পর্যন্ত পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জে ৪ জেলে বাঘের আক্রমণে নিহত হয়েছেন।