ভাড়াটে যোদ্ধাদের গ্রুপ ভাগনারের বিদ্রোহের পর প্রথমবারের মতো বিশ্বনেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের। গতকাল মঙ্গলবার রুশপন্থী সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (এসসিও) ভার্চুয়াল বৈঠকে এ সাক্ষাৎ হয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ মধ্য এশিয়ার কয়েকটি দেশের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। খবর সিএনএনের।
পূর্ব এশিয়া থেকে ভারত মহাসাগর পর্যন্ত পশ্চিমাদের তৎপরতা মোকাবিলায় এসসিও জোট গড়ে তোলে রাশিয়া ও চীন। এবারের এসসিও সম্মেলনের আয়োজক ভারত। ২০১৭ সালে এই জোটে যোগ দিয়েছিল দেশটি।
এবারের বৈঠকটি রাশিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর পশ্চিমা চাপে তারা যে কোণঠাসা হয়নি, তা দেখাতে চায় মস্কো। ভারত ও চীনের বাইরে জোটের চার সদস্য কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান ও উজবেকিস্তানে রাশিয়ার বড় প্রভাব রয়েছে। আরেক সদস্য দেশ পাকিস্তানের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে মস্কোর। আর গতকাল মঙ্গলবার জোটে নতুন সদস্য হিসেবে যোগ দিয়েছে ইরান ও বেলারুশ।
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর এই জোটের সব দেশই জাতিসংঘের প্রস্তাব অনুযায়ী রাশিয়ার প্রতি নিন্দা জানানো থেকে বিরত থেকেছে। যুদ্ধ থামাতে মধ্যস্থতার প্রস্তাব এসেছে চীনের কাছ থেকে। অন্যদিকে এ সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধানে বারবার আহ্বান জানিয়ে আসছে ভারত।
শুধু রাষ্ট্রীয়ভাবে নয়, পুতিনের জন্য ব্যক্তিগতভাবেও এই বৈঠকের গুরুত্ব রয়েছে। সম্প্রতি ভাগনারপ্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোঝিনের বিদ্রোহের পরও রাশিয়ায় পরিস্থিতি যে তাঁর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তা তুলে ধরার বড় সুযোগ পেয়েছেন পুতিন।
বৈঠকে দেওয়া ভাষণে পুতিন বিশ্বনেতাদের ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ‘সাংবিধানিক শৃঙ্খলা-ধারাবাহিকতা, নাগরিকদের জীবন ও নিরাপত্তা সুরক্ষায় রুশ নেতৃত্বের প্রতি সমর্থন দেওয়ায় আপনাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা জানাই।’