বসারঘরে টেলিভিশন থাকবে না তা কি হয়? জানেন কি, আপনি কীভাবে টেলিভিশন দেখছেন এবং সেটির যত্ন নিচ্ছেন তার ওপর এর আয়ু নির্ভর করে। টেলিভিশন দীর্ঘদিন ভালো রাখতে এড়িয়ে যেতে হচ্ছে কিছু ভুল।
সারাক্ষণ চলা
টেলিভিশনের জীবনচক্র প্রায় ৬৫ হাজার ঘণ্টা। টেলিভিশন চালু রেখে অন্যান্য কাজ করলে অথবা ঘুমিয়ে গেলে এর আয়ু কমে আসবে এটাই স্বাভাবিক। এটিকে অভ্যাসে পরিণত না করে দেখা শেষে টেলিভিশন বন্ধ করে দিন।
টেলিভিশন অপরিচ্ছন্ন রাখা
টেলিভিশন সব সময় পরিষ্কার রাখা জরুরি। ধুলোবালু জমে থাকলে টেলিভিশনের পর্দার ক্ষতি হয়। কখনো স্ক্রিন মোছার সময় পানি ব্যবহার করবেন না। টেলিভিশন পরিষ্কার রাখার বিভিন্ন লিকুইড ক্লিনার বাজারে পাওয়া যায়।
ব্রাইটনেস বাড়ানো
সব সময় টেলিভিশনের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে রাখলে এর আয়ু কমে আসবে। এ ছাড়া অতিরিক্ত আলো আপনার চোখের জন্যও ক্ষতিকর। তাই টেলিভিশনের উজ্জ্বলতা কমিয়ে রাখাই ভালো।
অনিয়ন্ত্রিত ভোল্টেজ
যন্ত্রপাতি ও গ্যাজেটের জন্য ভোল্টেজ ওঠানামা করা ক্ষতিকর। এ কারণে সেগুলো খুব দ্রুত নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। টেলিভিশন আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় যখন হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে যায় আবার তৎক্ষণাৎ বিদ্যুৎ চলে আসে। এতে করে টেলিভিশন নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে অনেক গুণ। বিদ্যুৎ চমকালে বা বাজ পড়লেও টেলিভিশনের ক্ষতি হয়। ঠিক এ জন্য ভোল্টেজ নিয়ন্ত্রক বা স্ট্যাবিলাইজার থাকলে সব সমস্যা থেকে দূরে থাকা যায়।
ধারালো বস্তু কাছাকাছি রাখা
ধারালো বস্তু খুব সহজে আপনার টেলিভিশনের পর্দার ক্ষতি করতে পারে, যার কারণে আজীবনের জন্য টেলিভিশন নষ্ট হতে পারে। এখনকার এলসিডি পর্দাগুলো অনেক পাতলা হয়ে থাকে, যে কারণে অল্পতেই ভেঙে যেতে পারে ধারালো বস্তুর কারণে। সুতরাং এগুলো টেলিভিশন থেকে দূরে রাখতে হবে।
সূত্র: দ্য আরবান গাইড