গাজীপুরের শ্রীপুরে মো. মাজহারুল ইসলাম (৩০) নামের এক যুবককে বাসার সামনে থেকে নিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। নির্যাতনের পর তাঁকে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে পালিয়ে যান নির্যাতনকারীরা। গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এ শ্রীপুরের এমসি বাজারের পাশে এ ঘটনা ঘটে। মোবাইল ফোন চুরির সন্দেহে
নির্যাতনের শিকার যুবক ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার চরআগলগী ইউনিয়নের জয়েরচর গ্রামের রমজান আলীর ছেলে। তিনি দীর্ঘ বছর ধরে শ্রীপুর উপজেলার রঙিলা বাজার এলাকায় একটি বাড়িতে ভাড়া থেকে কাঁচামালের ব্যবসা করেন।
ভুক্তভোগী মাজহারুল বলেন, শনিবার সকালে তিনি বাড়ির সামনের একটি বেঞ্চে বসেছিলেন। এ সময় স্থানীয় স্কুলশিক্ষক জায়েদুল ইসলামের ছেলে মুন্নার নেতৃত্বে পাঁচজন যুবকে তাঁকে জোর করে তুলে নিয়ে যান। তাঁকে এমসি বাজারের কলাবাগানে তুলে নিয়ে মারপিট শুরু করে। মারপিট করার সময় নির্যাতনকারীরা তার পরনের লুঙ্গি খুলে নেন। পরে সেটিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
মাজহারুল বলেন, একপর্যায়ে তাঁকে সড়কের পাশে খুঁটিতে বেঁধে পালিয়ে যান নির্যাতনকারীরা। খুঁটিতে বাঁধা দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন তাকে একটি গামছা পরিয়ে দেন। নির্যাতনকারীদের মধ্যে তিনি মুন্না, জাহিদুল ও ইমরানকে চিনতে পেরেছেন বলে জানান।
অভিযুক্ত মুন্না বলেন, ‘আমার এক আত্নীয়র স্মার্ট ফোন চুরি হয়েছে। এ বিষয়ে মাজাহারুল ইসলামকে জিজ্ঞেস করতে ডেকে এনেছি। মারধরের ঘটনাটি সঠিক নয়।’
চুরির বিষয়ে থানায় জিডি করছেন? এমন প্রশ্নের কোন সঠিক দেননি অভিযুক্ত মুন্না। আর মাজাহারুলকে কেন সন্দেহ হলো এমন প্রশ্নেরও সঠিক জবাব দিতে পারেননি তিনি।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোন্দকার ইমাম হোসেন বলেন, ‘নির্যাতনের শিকার যুবকের পক্ষে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’