মাগুরার শ্রীপুরে পাকা আমন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় কাটছে কৃষকের। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং সঠিক পরিচর্যার কারণে এ বছর আমনের ভালো ফলন হয়েছে। তবে ধানের ন্যায্যমূল্য ও শ্রমিক সংকটের কারণে হতাশায় রয়েছেন কৃষকেরা।
গত বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার অধিকাংশ কৃষক এখন ধান কাটা, মাঠ থেকে বাড়িতে আনা এবং মাড়াইয়ের কাজে ব্যস্ত। গরু, মহিষ এবং ঘোড়ার গাড়ি ছাড়াও মাথায় করেই ঘরে তুলছেন নতুন ধান। অনেক জমিতে ধান কেটে রোদে শুকানো হচ্ছে। শুকানোর পর অনেকগুলো ধানের গাছ বাঁধা হয় একত্রে। এ পদ্ধতিতে কৃষকদের ধান মাড়াইয়ের ক্ষেত্রেও অনেকটা সুবিধা হয়। খড়ের দাম ভালো হওয়ায় এবং গবাদি পশুর জন্য খড়ের যথেষ্ট চাহিদা হওয়ায় কৃষকেরা হচ্ছেন লাভবান। এরই মধ্যে কৃষকেরা ধান মাড়াইয়ের কাজ শুরু করেছেন। উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে বিক্রিও শুরু হয়েছে নতুন ধান।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে, শ্রীপুরে এবার ১১ হাজার ৪৭৫ হেক্টর জমিতে আমন চাষ হয়েছে। এর মধ্যে উফশি ৭ হাজার ৮১৫ হেক্টর, হাইব্রিড ২ হাজার ২৬০ হেক্টর এবং স্থানীয় জাতের আমন ১০০ হেক্টর রয়েছে। এরই মধ্যে অধিকাংশ জমির ধান কাটা শেষ হয়েছে।
উপজেলার কয়েকজন কৃষক বলেন, আমন ধানের রোগবালাই খুব কম হয়। এ বছর আমনের ভালো ফলন হয়েছে। ইতিমধ্যে অধিকাংশ জমির ধান কাটা শেষ হয়েছে। সাধারণত অগ্রহায়ণ মাসের শেষ দিকে এ ধান কাটা শুরু হলেও এ বছর আগে থেকেই এই ধান পাকতে শুরু করেছে। সব খরচ বাদ দিয়ে এবার লাভবান হবেন এমনটাই আশা তাঁদের।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সালমা জাহান নিপা আজকের পত্রিকাকে বলেন, আমন মৌসুমে কম সময়ে অধিক ফলনের লক্ষ্যে বিভিন্ন জাতের ধান আবাদে কাজ করছি। বিশেষ করে হাইব্রিড জাত আবাদে কৃষকদের উৎসাহিত করছি। নতুন জাতগুলো নিয়ে ১৪ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের প্রদর্শনী দেওয়া হয়েছে। এ বছর ফলনও ভালো হয়েছে।