চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার হাসাদহ ইউনিয়নে তারানিবাস গ্রামের ভূমিহীন ওয়াদুদ (৬৫) ও তাঁর স্ত্রী হাওয়াতন নেছা (৬০)। এলাকার খাস জমিতে একটি ঝুপড়ি বানিয়ে কোনো রকমে মাথা গোঁজার ঠাঁই করে নিয়েছেন তাঁরা। প্রায় ৩৫ বছর ধরে সেখানেই বসবাস করে আসছেন এ দম্পতি।
সম্প্রতি সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) থেকে বলা হয়েছে খাস জমিটিতে সরকারিভাবে ভূমিহীনদের ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হবে। কিন্তু ওয়াদুদ–হাওয়াতন নেছা দম্পতির নামে সরকারি ঘর বরাদ্দ না হওয়ায় তাঁদেরকে সেখান থেকে ঝুপড়ি ভেঙে চলে যেতে মৌখিক নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। খবরটি শোনার পর আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এ দম্পতি।
ওয়াদুদ জানান, অভাবের সংসার হলেও তাঁদের তেমন কোনো চাহিদা নেই। শুধু একটিই আকুতি, মাথা গোঁজার জন্য তাঁদের দীর্ঘদিনের বসতি খাস জমিতে একটি ঘর পেতে চান।
সংশ্লিষ্ট এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য মতিয়ার রহমান বলেন, ‘এ দম্পতিকে অগ্রাধিকার না দিয়ে সেখান থেকে তাঁদের উচ্ছেদ করে অন্য গ্রামের রেক্সনা নামের এক মহিলাকে এখানে সরকারি ঘর বরাদ্দ দেওয়া হবে বলে শুনেছি। আমার জানা মতে রেক্সোনার গুচ্ছপাড়ায় জমি ও পাকা ঘর রয়েছে।’
এ বিষয়ে (ইউএনও) আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘যাঁদের নামের তালিকা আগে করা হয়েছে তাঁদেরকে আগে ঘর দেওয়া হবে। ভূমিহীন ওয়াদুদ-হাওয়াতন দম্পতি পরিবারকে উচ্ছেদের কোনো নির্দেশ দেওয়া হয়নি। তাদের ব্যাপারটি আগে জানলে আমি অবশ্যই এবারই ব্যবস্থা করতাম। এবার ঘর না পেলেও পরবর্তীতে ব্যবস্থা করা হবে।’