পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলায় সালিসে দুই তরুণের মাথা ন্যাড়া করে আলকাতরা মাখানো হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ইউপি সদস্যসহ তিনজনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার পটুয়াখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ভুক্তভোগী এক তরুণ বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
আদালত মামলাটি নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার আসামিরা হলেন-গলাচিপা উপজেলার চরবিশ্বাস ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবু সায়েম গাজী, স্থানীয় বাসিন্দা হাদি হাওলাদার এবং হজরত হাওলাদার।
জানা গেছে, গত মঙ্গলবার উপজেলার চরবাংলা গ্রামের তাহিদুলের বিয়ে ছিল। বিয়েতে বরযাত্রী হিসেবে ওই দুই তরুণ চরবাংলা থেকে চরমহিউদ্দিন গ্রামের নুরু সর্দারের বাড়িতে যান। বিয়ে বাড়িতে এক কিশোরীর সঙ্গে ওই তরুণ কথা বলেন। বিষয়টি কিশোরীর ভাই দেখে তাঁদের দুজনকে মারধর করেন। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য সায়েম গাজী সালিস বসিয়ে হাদি হাওলাদার ও হজরত হাওলাদার ওই তরুণের মাথা ন্যাড়া করে আলকাতরা মেখে এলাকা থেকে বের করে দেন।
মামলার বাদীর বাবা লিটন গাজী বলেন, ‘আমার ছেলে যদি কোনো অপরাধ করে থাকত তাহলে আমাকে বা আইনের কাছে দিত। তা না করে এ ঘটনা ঘটানোর ফলে আমি ও আমার পরিবারের কেউ লজ্জায় রাস্তায় বেড় হতে পারছি না।’
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য সায়েম গাজী বলেন, আমি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই।
গলাচিপা থানার ওসি এম আর শওকত আনোয়ার ইসলাম বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।