হোম > ছাপা সংস্করণ

ইসকনের পক্ষে পুত্রবধূ পাল্টা অবস্থান ছেলের

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য সংগীতশিল্পী শেফালী ঘোষের পরিবার নিয়ে ‘মিথ্যাচার ও বসতঘর নিয়ে বিভ্রান্তি’ ছড়ানো হচ্ছে বলে দাবি করেছেন তাঁর পুত্রবধূ দীপান্বিতা মজুমদার। গতকাল বুধবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে তিনি বলেন, সব আইনি প্রক্রিয়া শেষে স্বাধীনতাযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী শব্দসৈনিক ননী গোপাল দত্ত ও শেফালী ঘোষের বসতঘর ইসকনকে হস্তান্তর করা হয়েছে।

আঞ্চলিক গানের সম্রাজ্ঞী হিসেবে খ্যাত শেফালী ঘোষ নন্দকাননের যে বাড়িতে থাকতেন সেটিতে গত ২১ এপ্রিল ধর্মীয় সংগঠন ইসকনের সদস্যরা উঠেছেন। প্রখ্যাত এই শিল্পীর স্বামীর প্রথম পক্ষের সন্তান যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী সুশান্ত দত্ত এ ঘটনার প্রতিবাদ করেন। তিনি এ বিষয়ে মামলাও করেছেন। তবে ইসকন দাবি করেছে, তারা শেফালী ঘোষের পুত্রবধূ দীপান্বিতা মজুমদারের কাছ থেকে জায়গাটি কেনা হয়েছে। যদিও এই দাবি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

এরপর দীপান্বিতা মজুমদারকে দিয়ে গতকাল সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ইসকন। সংবাদ সম্মেলনে দীপান্বিতা মজুমদার আরও বলেন, ‘শেফালী ঘোষকে বিয়ে করার আগে তাঁর স্বামী ননী গোপাল দত্ত আরেকটি বিয়ে করেন। সেই ঘরের সন্তানেরা অনেক বছর আগে ভারতে চলে যান। তাঁরা ননী গোপাল দত্ত ও শেফালী ঘোষের কোনো খবর রাখতেন না। শেফালী ঘোষের একমাত্র ছেলে সুকণ্ঠ দত্ত ও আমি তাঁদের দেখাশোনা করতাম।’

দীপান্বিতা মজুমদার দাবি করেন, ‘২০১৯ সালে আমার স্বামী মারা যাওয়ার পর আমাদের পারিবারিক অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে যায়। আর্থিক সংকট নিরসনে আমার শ্বশুর ও শাশুড়ি যে বসতঘরে ভাড়া থাকতেন সেটি যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে চৈতন্য কালচার সোসাইটির পক্ষে ইসকনকে হস্তান্তর করি। ইসকনকে নিজে দাঁড়িয়ে বসতঘরটি হস্তান্তর করি এবং ইসকন আমার পাওনাও পরিশোধ করে। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে সুশান্ত দত্ত কথিত রতন বিশ্বাসদের নিয়ে লোকনাথ মন্দিরের সাইনবোর্ড ব্যবহার করে জাল জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে আমি ও ইসকনকে জড়িয়ে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। যা সম্পূর্ণ আইন ও ন্যায় নীতির পরিপন্থী।’ সংবাদ সম্মেলনে সুশান্ত দত্তের বিরুদ্ধে আরও একগাদা অভিযোগও তোলেন তিনি।

তবে সংবাদ সম্মেলনে দীপান্বিতা মজুমদারের করা দাবির বিষয়ে পাল্টা বক্তব্য দিয়েছেন সুশান্ত দত্ত। গতকাল রাতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে সুশান্ত আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দীপান্বিতা দাবি করেছেন আমার বাবা-মা (শেফালী ঘোষ) ভাড়া বাসায় থাকতেন। যদি ভাড়ায় থাকতেন তাহলে দীপান্বিতা কীভাবে ভাড়া বাসা ইসকনকে বিক্রি করলেন? মূলত বাড়িটি আমাদের নিজস্ব। এ বিষয়ে সব কাগজপত্র আমার কাছে আছে।’

ননী গোপাল ও শেফালীকে প্রথম পক্ষের সন্তানেরা খবর রাখতেন না–দীপান্বিতার এই দাবিরও প্রতিবাদ করেন সুশান্ত। তিনি বলেন, ‘আমার ছোট ভাই সুকান্তের সঙ্গে দীপান্বিতার বিয়ে হয়েছে ২০০৮ সালে। আর আমার মা শেফালী ঘোষ মারা গেছেন ২০০৬ সালে। সেখানে দীপান্বিতা কীভাবে দাবি করলেন তিনি দেখাশোনা করতেন শেফালী ঘোষকে, আমরা দেখাশোনা করিনি। মূলত আমরাই বাবা-মা দুজনকে ভারতে নিয়ে চিকিৎসা করিয়েছি। সেই সময়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ ও ছবি যাচাই করলেই পরিষ্কার হবে–আমরা মায়ের পাশে ছিলাম কিনা ছিলাম না।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ