হোম > ছাপা সংস্করণ

ছাত্রাবাস নেই, ভোগান্তি

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি

নীলফামারীর সৈয়দপুর কলেজ প্রতিষ্ঠার ৭০ বছরেও নির্মিত হয়নি শিক্ষার্থীদের জন্য কোনো ছাত্রাবাস। এতে জেলার প্রাচীন এ বিদ্যাপীঠে দূরদূরান্ত থেকে আসা শিক্ষার্থীদের মেসে থেকে পড়াশোনা করতে হচ্ছে। অনেকে আবার নিয়মিত ক্লাস করতে পারছেন না। বেশি বিপাকে পড়েছেন উচ্চশিক্ষা নিতে আসা অসচ্ছল পরিবারের শিক্ষার্থীরা।

জানা যায়, সৈয়দপুর সরকারি কলেজ ১৯৫৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও এটি সরকারীকরণ করা হয় ২০১৮ সালে। কলেজে ২০০৫ সালে রাষ্ট্রবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান, ইতিহাস, উদ্ভিদবিজ্ঞান ও হিসাববিজ্ঞান বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু হয়।

বর্তমানে উচ্চ মাধ্যমিক, ডিগ্রি ও অনার্স এই তিন বিভাগে শিক্ষার্থীসংখ্যা প্রায় সাড়ে তিন হাজার। দেশ স্বাধীনের পর তৎকালীন নীলফামারী জেলা প্রশাসক শহরের শহীদ তুলসীরাম সড়কের নতুন বাবুপাড়া এলাকার একটি পরিত্যক্ত ভবন কলেজের জন্য দেন। ৬ কক্ষের এ দ্বিতল ভবনে কয়েক বছর ছাত্রাবাস হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু জীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় প্রায় দুই যুগ আগে ভবনটি বসবাসের অনুপযোগী ঘোষণা করা হয়। এতদিনেও সেটি সংস্কার কিংবা নির্মাণ করা হয়নি নতুন কোনো ছাত্রাবাস।

কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র শরিফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, তাঁর বাড়ি দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে। এতদূর থেকে প্রতিদিন এসে ক্লাস করা সম্ভব না হওয়ায় মেসে উঠেছেন। সামর্থ্য না থাকায় মেস ভাড়া জোগাড় করতে নিজের পড়াশোনার সময়টা অন্যের বাড়িতে ছাত্র পড়িয়ে ব্যয় করতে হচ্ছে তাঁকে।

রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী আরিফা খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শুধু শিক্ষার্থীদের জ্ঞান বিতরণের জন্য নয়, বরং জ্ঞান তৈরির একটি উর্বর জায়গা। সে পরিবেশ সৈয়দপুর সরকারি কলেজ তৈরি করতে পারেনি। হোস্টেল না থাকায় মেসে উঠেছি।

রুম ভাড়াই জনপ্রতি ১১০০ টাকা করে দিচ্ছি। কলেজ যাতায়াতে ব্যয় হয় ৪০ টাকা। এলাকাও সুবিধার নয়। নিজেই রান্না করতে হয়। টিউশন ও রান্নাতেই সব সময় চলে যায়। পড়াশোনার সময় পাওয়া যায় না।’ তিনি আজকের পত্রিকাকে আরও বলেন, ‘চেষ্টা করছি অন্য কলেজে বদলি নেওয়ার।’

সৈয়দপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল মান্নান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ছাত্রদের দুর্ভোগের কথা আমরা অবগত রয়েছি। ছাত্রাবাস করার মতো জায়গা রয়েছে আমাদের। ইতিমধ্যে দুটি ছাত্রাবাস নির্মাণের জন্য শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছি। প্রকল্পের মাধ্যমে খুব শিগগিরই ছাত্রাবাস নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ