হোম > ছাপা সংস্করণ

‘টিংকুর মা, আমাকে নিতে এসেছে’

ডা. ফজলে রাব্বী

১১ ডিসেম্বর থমথমে হয়ে গেল ঢাকা শহর। ঢাকা মেডিকেল কলেজের ক্লিনিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড কার্ডিওলজিস্ট অধ্যাপক ফজলে রাব্বী ছিলেন তাঁর কাজের জায়গায়। আরও কয়েকজন অধ্যাপক ছিলেন সেখানে। ডা. রাব্বীর স্ত্রী জাহানারা রাব্বী গেলেন সেখানে। ইতস্তত করে বললেন, ‘দেখুন, সবাই বলছে শহর ছেড়ে চলে যেতে। আর বোধ হয় এখানে থাকা ঠিক হবে না।’ কেউ কোনো উত্তর করলেন না।

বাড়ি ফেরার পথে গাড়িতে উঠে ডাক্তার রাব্বীকে তিনি আবার বললেন, ‘দেখো, কোথায় যেতে হয়।’

ডা. রাব্বী বললেন, ‘আচ্ছা, দেখি। কারও সঙ্গে আলাপ করে আজ বিকেলে কিছু একটা ঠিক করা যাবে।’

সেদিন বেলা ৩টার সময় কারফিউ জারি করা হলো।

জাহানারা রাব্বী বলে উঠলেন, ‘টিংকুর আব্বা, ওরা কি জানে আমরা আজ পালাব?’

ডা. রাব্বী বিমূঢ় হয়ে তাঁর মুখের দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘যুদ্ধের সময় পৃথিবীর কোথাও কোনো কারফিউ দেওয়ার নিয়ম নেই। এবার হয়তো ওরা আমাদের ঘর থেকে তুলে নিয়ে মারবে।’

১৪ ডিসেম্বর রাতে জাহানারা রাব্বী একটি স্বপ্ন দেখলেন। একটা সাদা সুতির চাদর গায়ে তিন ছেলেমেয়ে নিয়ে জাহানারা জিয়ারত করছেন কোথাও, যেখানে চারটা কালো থামের মাঝখানে সাদা চাদরে ঘেরা কী যেন আছে।

১৫ ডিসেম্বর সকালে এই স্বপ্নের কথা ডা. রাব্বীকে জানালে তিনি বললেন, ‘তুমি বোধ হয় আমার কবর দেখেছ টিংকুর মা।’

দুপুরে কারফিউ। তিনি খাবার টেবিলে বসলেন। সেদিন ছিল বাসি খাবার কিন্তু তিনি বললেন, ‘আজকের দিনে এত ভালো খাবার খেলাম। খুব ভালো খাওয়ালে তুমি।’

বাড়ির বাবুর্চি এসে ফিসফিস করে বলল, ‘সাহেব, ওরা বাড়ি ঘিরে ফেলেছে।’

তিনি সোজা বারান্দায় দাঁড়ালে দেখলেন আলবদর, সেনাবাহিনী এবং একটা কাদালেপা সাদা মাইক্রোবাস। তিনি নিচু গলায় বললেন, ‘টিংকুর মা, আমাকে নিতে এসেছে।’

তিনি আর ফিরে আসেননি।

সূত্র: জাহানারা রাব্বী, মুক্তিযুদ্ধে শহীদ চিকিৎসক

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ